বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ২৬ মাসের বকেয়া বেতনসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলের টিকাটুলিতে ইনকিলাব ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
ইনকিলাবের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব সম্পাদককে আবারও ৭২ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে চাকরিচ্যুদের সব পাওনা এক চেকে পরিশোধ করা না হলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
পবিত্র রমজান মাস চলছে। সামনেই ঈদ। কিন্তু এখনো কেন চাকরিচ্যুতদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি- তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন বক্তারা।
তারা তথ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ইনকিলাব সম্পাদক পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনাদি আত্মসাৎ করে আসছেন। অতীতে আত্মসাতের প্রতিকার না করায় তিনি এখন শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীর কোটি কোটি টাকা মেরে দেয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। এটি গণমাধ্যমের জন্য একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
ইনকিলাব সম্পাদকের এই হীনপ্রচেষ্টা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর স্মরণাপন্ন হতে চাকরিচ্যুতদের পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা। একই সঙ্গে সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন ও পত্রিকার অন্যান্য পরিচালকের বাড়ি ঘেরাওসহ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়া হয়। এএমএম বাহাউদ্দীনকে ‘না’ বলতে দেশের আলেম ওলামা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
সিনিয়র রিপোর্টার আফজাল বারীর সঞ্চালনায় ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি, বিশেষ সংবাদদাতা শামীম চৌধুরী, মফস্বল সম্পাদক জামান সৈয়দী, সিনিয়র রিপোর্টার এনামুল হক সরকার (এনাম সরকার), সিনিয়র সাব-এডিটর মিজানুর রহমান, জহিরুল হক চাখারি, বিভাগীয় সম্পাদক (নারী) ফাহমিদা আহমেদ ও রেফারেন্স ইনচার্জ আজিজ মিজি।
এর আগে ইনকিলাব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, বকেয়ার মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থ বুঝিয়ে দিয়ে সমুদয় পাওনা বুঝিয়ে পেলাম, এই হিসেবে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপ সই দিতে বাধ্য করার অনৈতিক প্রস্তাবনা থেকে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ এখনো ফিরে আসেনি।
আলোচনার নামে ইনকিলাবেব হিসাব বিভাগ থেকে মালিকের প্রতিনিধিরা একই প্রস্তবনা দিয়েছেন। অথচ ইনকিলাব সম্পাদকের এই মানবতাবিরোধী ও গোটা সাংবাদিক সমাজের জন্য অবমাননাকর প্রস্তাবনায় রাজি না হওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে ২০১৭ এর মধ্যে বিনা নোটিশে ১শ জন সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস