বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে খালপার ও রাস্তা দখল করে জমজমাট ইট-বালুর ব্যবসা চললেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ভাইকে মাসোয়ারা দিয়ে গুটি কয়েক ব্যাক্তি দীর্ঘ দিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে খাল ভড়াট হয়ে যাচ্ছে। মালামাল পরিবহনের কারণে আভ্যন্তরিণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মারা যাচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধন কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, অধিক মুনাফালোভের আশায় স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি পরিষদের অভ্যন্তরের উত্তর পাশে প্রায় ২ হাজার মিটার দৈর্ঘ্য খাল পার ও একটি পাকা রাস্তা দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে ইট-বালুর ব্যবসা করে আসছেন।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাইকে মাসোয়ারা দিয়ে এ ব্যবসা করা হচ্ছে। এই রাস্তার দক্ষিন পাশে মৎস্য, মাধ্যমিক শিক্ষা বিএডিসি ও আনছার ভিডিপি আফিসসহ একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। বড় চাকার লরি ও টমটমে করে মালামাল পরিবহন করায় পরিষদের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। তা ছাড়া ওই রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে।
পরিবহনের শদ্ধে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘিœত হচ্ছে। এ ছাড়াও পরিষদ এলাকার আবাসিক লোকজনের হাঁটাহাটি করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই রাস্তার দুই পাশে এক বছর আগে সাবেক নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান শতাধিক সৌন্দর্যবর্ধন কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপন করেছেন। মালামাল পরিবহনের কারণে সৌন্দর্যবর্ধন কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো অধিকাংশ গাছ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
একই কারণে পরিষদের পূর্ব পাশে ভিআইপি সড়কটি এখন চলাচলে ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। এই সড়কের পাশে কয়েকশ’ বাসা বাড়ি, বিআরডিবি অফিস ও পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস রয়েছে। এই অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে মালামাল পরিবহন করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও উপজেলা প্রশাসন কিংবা পরিষদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা।
এ ব্যপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুষ চন্দ্র দে বলেন, ব্যবসা কারা করছেন আমার জানা নেই তবে বিষয়টি দেখবো।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস