বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ধনকুবেরের পুত্রের বিয়ে: ২ লাখ টাকার মিনি ড্রেসে নজর কাড়লেন কিয়ারা পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য সকাল থেকে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত রবি আজিয়াটা হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত কালীগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে ছদ্মবেশে ফের দুদকের অভিযান কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়েও রক্ষা পেলেন না ৪ ফাঁসির আসামি কেনিয়ায় পার্লামেন্টে হামলা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের উপমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পুকুরে ফেলা গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহে যাচ্ছে ডিবির দল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শিগগির কর্মসূচি: ফখরুল ‘দেশের মানুষকে আমরা কষ্ট দিয়েছি’ ক্ষমা চাইলেন শান্ত বেনজীরের পাসপোর্ট জালিয়াতি: অধিদপ্তরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ঈদ যাত্রার ১৩ দিনে সড়কে নিহত ২৩০ জন : বিআরটিএ প্যানারমিক সানরুফসহ যেসব সুবিধা থাকছে নতুন মাহিন্দ্রা থারে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে মমতার অভিযোগ খারিজ মোদী সরকারের মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর উপকূলে নাজুক বেড়িবাঁধ যেন মরণ ফাঁদ

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, ফসলি জমির মাটি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা71নিউজ,আফতাব হোসেন,চাটমোহর(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ব্যাপকহারে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একই সাথে পুড়ছে কৃষি জমির মাটি। ভাটা মালিকরা সরকারি আইন-কানুনের কোন তোয়াক্কা করছেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় লাইসেন্সবিহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা।

অনুসন্থানে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় কতটা ইটভাটা আছে, এগুলোর কোন অনুমোদন আছে কিনা, তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে কিনা-তা জানেনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর। পুরাতন ফাইল থেকে জানা গেলো, এ উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। নতুনভাবে ইটভাটা স্থাপন হলেও, তার তথ্য জানা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। উপজেলার গুনাইগাছায় লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই ‘সিটিবি ব্রিকস’ এবং চরসেনগ্রামে ‘ডিএসএ ব্রিকস ফিল্ড’ চালু হয়েছে। এছাড়া হরিপুরে ‘মল্লিক ব্রিকস ফিল্ড’নামের আরেকটি ইটভাটা চালু হয়েছে।

যা উপজেলা প্রশাসনের নজরেই নেই। এই ৩টি ইটভাটা ইচ্ছেমতো কৃষি জমি ব্যবহার করছে। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও বাঁশের মোথা। তাদের কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা লাইসেন্স নবায়ন নেই। সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে আর পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। ইটভাটায় ব্যাপকহারে কাঠ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করায় যেমন উজার হচ্ছে বৃক্ষরাজি,তেমনি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে কৃষি জমি। অনেক কৃষক না বুঝেই জমির মাটি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন রাতে নছিমন কিংবা ট্রলি যোগে ইটভাটায় ঢুকছে শ’শ’ মণ কাঠ। বিনাশ হচ্ছে বাঁশ ঝাড়ও।

প্রতি বছর অন্ততঃ ৬ মাসে একটি ইটভাটায় ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি ইট প্রস্তুত হয়। চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান রশীদ হুসাইনী জানান,কৃষি বিভাগের কোন প্রকার প্রত্যায়ন ছাড়াই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের অভিমত, ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর প্রভাব স্পষ্ট। বিশেষ করে কৃষি জমি ও কাঠের ব্যবহার মহামারী আকার থারণ করেছে। ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করছে না সংশ্লিষ্টরা। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য এখনই যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন বন্ধ করতে হবে। চাটমোহর উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান, কোন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না। ইতোমধ্যে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নেআ বা লাইসেন্স নবায়ন নেই এবং যারা আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com