শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, ফসলি জমির মাটি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা71নিউজ,আফতাব হোসেন,চাটমোহর(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ব্যাপকহারে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একই সাথে পুড়ছে কৃষি জমির মাটি। ভাটা মালিকরা সরকারি আইন-কানুনের কোন তোয়াক্কা করছেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় লাইসেন্সবিহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা।

অনুসন্থানে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় কতটা ইটভাটা আছে, এগুলোর কোন অনুমোদন আছে কিনা, তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে কিনা-তা জানেনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর। পুরাতন ফাইল থেকে জানা গেলো, এ উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। নতুনভাবে ইটভাটা স্থাপন হলেও, তার তথ্য জানা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। উপজেলার গুনাইগাছায় লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই ‘সিটিবি ব্রিকস’ এবং চরসেনগ্রামে ‘ডিএসএ ব্রিকস ফিল্ড’ চালু হয়েছে। এছাড়া হরিপুরে ‘মল্লিক ব্রিকস ফিল্ড’নামের আরেকটি ইটভাটা চালু হয়েছে।

যা উপজেলা প্রশাসনের নজরেই নেই। এই ৩টি ইটভাটা ইচ্ছেমতো কৃষি জমি ব্যবহার করছে। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও বাঁশের মোথা। তাদের কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা লাইসেন্স নবায়ন নেই। সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে আর পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। ইটভাটায় ব্যাপকহারে কাঠ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করায় যেমন উজার হচ্ছে বৃক্ষরাজি,তেমনি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে কৃষি জমি। অনেক কৃষক না বুঝেই জমির মাটি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন রাতে নছিমন কিংবা ট্রলি যোগে ইটভাটায় ঢুকছে শ’শ’ মণ কাঠ। বিনাশ হচ্ছে বাঁশ ঝাড়ও।

প্রতি বছর অন্ততঃ ৬ মাসে একটি ইটভাটায় ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি ইট প্রস্তুত হয়। চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান রশীদ হুসাইনী জানান,কৃষি বিভাগের কোন প্রকার প্রত্যায়ন ছাড়াই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের অভিমত, ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর প্রভাব স্পষ্ট। বিশেষ করে কৃষি জমি ও কাঠের ব্যবহার মহামারী আকার থারণ করেছে। ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করছে না সংশ্লিষ্টরা। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য এখনই যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন বন্ধ করতে হবে। চাটমোহর উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান, কোন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না। ইতোমধ্যে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নেআ বা লাইসেন্স নবায়ন নেই এবং যারা আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com