দুইজন মানুষ একসঙ্গে থাকলে মারামারি লেগে যেতে পারে। তাই বলে মানুষ আর রোবটের মধ্যেও এমনটা ঘটবে! একটি রোবট ঠিক এই নজির স্থাপন করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে মানুষের মতো রোবট বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাপক পরিসরে কাজ হচেছ ইলন মাস্কের তেসলা কারখানায়। যেখানে অভিযুক্ত এই রোবটটি রিমোটের একটা বোতাম টিপলেই যে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। এরপর ইঞ্জিনিয়াররা যে নির্দেশ দেয় সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে।
ভারী ভারী মালপত্র তোলা থেকে শুরু করে লাফানো ঝাঁপানো সব কিছুতেই সে পারদর্শী। সেই রোবটই এমন হিংস্র কীভাবে হয়ে গেল তা ভেবেই পাচ্ছেন না ইলন মাস্কের সংস্থা তেসলার কারখানার ইঞ্জিনিয়াররা। কারখানার এক ইঞ্জিনিয়ারের পিঠ, হাত খামচে দিয়েছে সেই রোবট। শুধু খামচে দেওয়া নয়, একেবারে পিঠ থেকে খুবলে তুলে নিয়েছে মাংস।
ইলন মাস্কের তেসলা তো রোবট তৈরির কারখানা। ওই কারখানায় মানুষের থেকে রোবট কর্মীর সংখ্যা বেশি। তারাই কাজ করে, ভারী ভারী মালপত্র তোলে, যন্ত্রপাতি সারায়। সেইসব রোবটকে আবার আবেগ ও বুদ্ধি দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে। আর এখানেই বিজ্ঞানের আশীর্বাদ অভিশাপ হয়ে উঠছে।
যদিও ইলন মাস্কের সংস্থা এ বিষয়ে কিছু বলেনি। সেখানকার কর্মীরা বলছেন, তিনটি রোবটের মধ্যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তার মধ্যে দুইটিকে নিষ্ক্রিয় করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছিল। তৃতীয়টিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়নি। সেটির মধ্যে নতুন করে ডেটা ইনস্টল করতে গিয়েই এই বিপদ ঘটে। রোবটটি আচমকা হামলা করে ইঞ্জিনিয়ারকে। ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে খামচে তার পিঠ থেকে মাংস তুলে নেয়। ইঞ্জিনিয়ারের হাত ধরে বেঁকিয়ে দেয়।
ইঞ্জিনিয়ারকে বাঁচাতে কারখানার বাকিরা ছুটে এসে সঙ্গে সঙ্গেই রোবটটিকে নিষ্ক্রিয় করে। কর্মীরা বলছেন, আর খানিকক্ষণ দেরি হলেই ইঞ্জিনিয়ারের প্রাণ চলে যেত। রোবটটিতে এমনই টেকনিক্যাল ফল্ট হয়েছিল যে সেটি হিংস্র আচরণ করতে শুরু করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ