বাংলা৭১নিউজ, বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করার সময় গ্রামবাসীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে আল হেলাল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। পরে শালিসী বৈঠকে এসআই আব্দুল মজিদ ওই ভুক্তভোগী কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করে ৪০ হাজার টাকা। এভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ওই এসআই আওয়ামী নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৪ জুন) রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আল হেলাল ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের শ্যামগাতি গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিনের দড়িমুকুন্দ গ্রামের বকুল হোসেন, আবু বকর, জুলফিকার আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, হেলাল একই গ্রামের ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার রাতেও আল হেলাল ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে গ্রামবাসী তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে অস্বীকৃতি জানায় হেলাল।
এ বিষয়ে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসী বৈঠক বসান। সেখানে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে ওই আ’লীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হলেও ওই কিশোরীর পরিবারকে মাত্র ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা পকেটে ভরেছে বলে কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা আল হেলাল এ ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজী হননি।
তবে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ জানান, মেয়ের পরিবারের কেউ অভিযোগ না করায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। তবে টাকা নেওয়ার ঘটনা সত্য নয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস