সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, ম্যাচ শুরু হবে ১৫ মিনিট দেরিতে এবার রাফাহ খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল রূপালী ব্যাংকে হিসাব খোলার মাইলফলক উদযাপন রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা ‘আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি’ কক্সবাজারে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব নিলো শামসুল হক ফাউন্ডেশন জেরুজালেমে আল জাজিরার কার্যালয়ে ইসরায়েলের অভিযান বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান সিরিয়াল অনুযায়ী মামলার শুনানি হবে: প্রধান বিচারপতি অবৈধ টিভি চ্যানেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে একত্রে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস নিলেন আনসার সদস্য সুনামগঞ্জে অব্যাহত বৃষ্টিতে বাড়ছে নদ-নদীর পানি জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৩ সিলেটে সাত সকালে কালবৈশাখীর তাণ্ডব সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে

ইউরোপ নয়, এবার নিজ দেশে ফিরছে ইরাকিরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ইরাকের যুদ্ধ আর সহিংসতা থেকে বাচতে অনেকে ইউরোপে গিয়েছেন। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে তারা সেখানে গিয়েছেন, অনেকেই তার দেখা পাননি।

অভিবাসন কর্মীরা বলছেন, এখন ইউরোপ থেকে উল্টো ইরাকে ফিরতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ইরাকেই তারা নতুন করে জীবন শুরু করতে চান।
ইরাকের একটি ক্যাম্পে সাতবছরের ফ্রানসো বর্ণনা করছিল, কিভাবে সে মসুলে থাকার সময় প্রতিদিন ঘরে বসেই বাইরে বোমার আওয়াজ শুনতে পেতো। দুইবছর আগে মসুলের কাছে তাদের খৃষ্টান গ্রামে যখন তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা হামলা চালায়, তখন তার মা, এখলাস ছিলেন হাসপাতালে, কিছুক্ষণ আগেই যার সিজারিয়ান অপারেশন হয়।

এখলাস বলছেন, হাসপাতালের সিজারিয়ান সেকশনে আমার ছোট মেয়েটার জন্ম হয়। এই সময় আইএস হামলা চালালে সেই অবস্থায় আমাকে আর বাচ্চাদের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে আসে। সে সময় আমার জ্ঞানও ছিল না।

এখনো সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। আইএসের হামলায় তাদের বাড়িঘর সব ধ্বংস যায়। অতএব তার স্বামী হানি অন্যদের মতো ইউরোপগামী অভিবাসন স্রোতে যোগ দেন। তার স্বপ্ন, সেখানে হয়তো তিনি পরিবারের জন্য নতুন জীবন শুরু করতে পারবেন।

উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে অনেক ইরাকি নিজেদের দেশে ফিরতে শুরু করেছেন
হানি বলছেন, তুরস্ক আর গ্রীসের মাঝে আমাদের নৌকাটি উল্টে যায়। তবে আমি বেঁচে যাই। সাতরে আমি তীরে উঠতে পারি। কিন্তু পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। তারা আমাদের নানা স্থানে নিয়ে যায়। ছাড়া পেয়ে আমরা বেসমেন্টের কয়েকটি ঘরে থাকি, খাবার নেই, টাকা নেই, অনেক কষ্ট। পাঁচ মাস পরে আমি ইউরোপে যাবার চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে আবার এখানে চলে আসি।

আরবিলে বাস্তুচ্যুত ইরাকিদের একটি ক্যাম্পে এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা দীর্ঘসময় ধরে ক্যাম্পটিতে বাস করছে। ইরাক জুড়ে এরকম প্রায় ত্রিশ লাখ ইরাকি রয়েছে, আইএসের হামলায় যারা বাড়িঘর ছেড়েছেন। এদের অনেকেই ইউরোপে যাবার চেষ্টা করছেন, আবার অনেকের মতে, বাড়ির মতো শান্তি কোথাও নেই।
সাদ কামাল নামে এই ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা বলছেন, বাধ্য হয়ে আমরা এই ক্যাম্পে থাকছি, কিন্তু একদিন আমাদের বাড়িতে ফিরে যাবো। আমাদের পরিবারের সদস্য আটজন। অনেকেই ইউরোপ বা তুরস্ক চলে গেছে কিন্তু একসময় তারাও বাড়ি আসবে, যখন এই যুদ্ধ থেমে যাবে।

মসুল থেকে পালিয়ে আসা আকরাম অবশ্য মনে করেন, ইরাকে তাদের কোন ভবিষ্যৎ নেই। তিনিও সুযোগ পেলেই দেশের বাইরে চলে যাবেন।
তিনি বলছেন, আমরা চলে যেতে চাই, কারণ ইরাকে আমাদের কোন ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের যে বন্ধুরা ইউরোপে গেছে, তারা সেখানে বাড়ি পেয়েছে, ছেলেমেয়েরা শিক্ষা পেয়েছে। কিন্তু আমাদের যাবার মতো টাকা নেই, তাই এখানে পড়ে রয়েছি।

২০১৫ সালে রেকর্ড অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করলেও, সাম্প্রতিক মাসে সেই সংখ্যা অনেক কমে এসেছে
গত কয়েকমাসে গ্রীস বা ইটালি হয়ে ইউরোপে গমনেচ্ছু অভিবাসীদের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তা সান রুব্লাক বলছেন, এর মানে এটাই যে, এখন অনেক মানুষ মানুষ ইউরোপ থেকে নিজেদের দেশে ফেরত আসছে।

তিনি বলছেন, গতবছরের প্রথম আটমাসে আমরা গড়ে ১০০জন করে ফেরত আসা অভিবাসীদের পেয়েছি। কিন্তু এরপর থেকেই এটা অনেক বেড়ে গেছে। গতমাসে একহাজারের বেশি ইরাকি ফেরত আসতে আইওএমের কাছে সাহায্য চেয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com