বাংলা৭১নিউজ, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির দমদদমা গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে গ্রাম্য শালিসে গৃহবধূকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক তালাক দেওয়াসহ এক দরিদ্র পরিবারের লক্ষাধিক টাকার জরিমানা আদায় ও আরোও ২ লাখ চাদা দাবীর অভিযোগে গত বুধবার গৃহবধুর বাবা আমিন হোসেন বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ২০জনকে আসামী একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গত রাতে পুলিশ এ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী লুৎফর রহমান ওরফে নান্দু (৪০) ও স্বপন হোসেন (৩৫) নামের দুই মাতবরকে গ্রেপ্তার করেছে। বাঁকী আসামীরা পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শালিসের নামে অবিচার করার ঘটনায় অভিযুক্ত মাতবরা ৩ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর দায় চাপিয়ে পার পাবার চেষ্ট করলেও মামলার বাদী তার এজাহারে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি বলে জানাগেছে।
জানাযায়, উপজেলার দমদমা গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে বিচারের নামে এক দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং আরোও ২লক্ষ টাকা দাবী করা হয়। এছারাও ওই গৃহবধুকে জোরপৃর্বক তালাক দেয়া হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ওই বিচারের মতবরেরা নিজেদের দায় এরাতে পুলিশের ওপর দায় চাপিয়ে ঘটনা থেকে পার বাপার চেষ্টা করছেন বলেওই শালিসের বিপক্ষে থাকা গ্রামবাসী অনেকে জানিয়েছেন। তারা জানান,রাত্রীকালিন কর্তব্য পালন করতে পুলিশের এ এস আই আবু সায়েম,আবু হাসানম ওতপন কুমার রাত্রীকালীন ডিউটি চলাকালে সময়ে দমদমা গ্রাম অতিক্রম করার সময় লোকজনের জোটলা দেখে এর কারন জানতে চাইলে এসময়লোকজন বলেন দুই পরিবারের মধ্যে ঘটা বিরোধ নিরসনের জন্য বৈঠক করার কথা জানানো হয়।
ফলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের কর্তব্য চলেজান। নজরানা বা উৎকোচ গ্রহনের কথা সঠিক নয়। এব্যাপারে ওই তিন পুলিম কর্মকর্তাার সাথে যোগাযোগ করা হলে তরা ্ওই ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে উক্ত ঘটনার মামলার বাদীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি পুলিশকে কোন উৎকোচ বা টাকা পয়সা দেয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। যারা বিচারের নামে আমাদের ওপর নির্যতন জুলুম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস