বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ২১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির মামলায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রহমান খানের জামিন আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ফরিদুর রহমান। অপরদিকে দুদকের পক্ষ থেকে জামিন বিরোধীতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন বর্ধিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে গুলশান-২ আবাসিক এলাকায় কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৭ সালে হাসপাতালটির নাম পরিবর্তন করে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড হয়। ২০০৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৯ এর তৎকালীন উপ-কর কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বার্ষিক ২৯ কোটি ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নোটিশ প্রদান করেন।
কিন্তু হাসপাতালের এমডি ফরিদুর রহমান করারোপের বিষয়টি না মেনে ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এআরবি (অ্যাসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ড) বরাবর আবেদন করেন। তখন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্য দুই সদস্যের অনুপস্থিতিতেই ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন কমিশনার রহিমা বেগম বার্ষিক কর ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন।
বার্ষিক কর কমানোর ফলে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাওনা কর দাঁড়ায় ১৮ কোটি ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫২ টাকা। যদি ভবনের বার্ষিক কর না কমানো হতো তাহলে পাওনা হতো ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা। চলতি বছর ১১ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মুহ. মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার রহিমা বেগমকেও এ মামলার আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ফরিদুর রহমান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস