ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে রাশিয়ার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রোসাটম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং কাজের শিডিউলে কোনো বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।’
মঙ্গলবার রাতে রূপপুর প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা (রোসাটম) এ তথ্য জানিয়েছে।
রোসাটম জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অচলাবস্থার আশঙ্কা নেই। এই ইস্যুতে রূপপুর প্রকল্পে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৩ সালেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালুর কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালিত হবে। আর দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে ২০২৪ সালে।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ করছে রাশিয়া। ইউক্রেনে অভিযান দীর্ঘমেয়াদি হলে তার প্রভাব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের ওপরও পড়তে পারে— এমন শঙ্কা তৈরি হওয়ায় রোসাটমের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস