বাংলা৭১নিউজ,(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার পেঁয়াজের বাজারে অভিযান শুরু করেছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর হাটে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মুহূর্তেই কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমে যায়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ২১০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছেন স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুরে ইউএনও শারমিন আখতার হঠাৎ রণবাঘা ও ওমরপুর হাটে অভিযানে যান। এতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২১০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি শুরু করেন বিক্রেতারা। পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা কম হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে এই দাম বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি। ইউএনওর অভিযান শেষ করে যাওয়ার পরই ফের আবারও বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বেশির ভাগ ক্রেতা মলিন মুখে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যান।
দাম কেন বেড়েছে জানতে চাইলে বিক্রেতা আব্দুল মোমিনসহ অন্যরা জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজের মজুতও প্রায় শেষ। তাই দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এক কেজি ২১০ টাকা। অপেক্ষাকৃত খারাপ মানের ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।
ক্রেতা আবু নোমান বলেন, সকালে ওমরপুর হাটে ২১০ টাকা দিয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি।
এদিকে রণবাঘা বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি বিক্রি করায় আউয়াল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম সহনীয় মাত্রার রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের বোঝানো হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস