বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: উপজেলা আ.লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম খায়েরের সাথে বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের আমগাছিয়াডাঙ্গী গ্রামের রুস্তুম শেখের সাথে জমিজমা বিরোধের জেরকে কেন্দ্র করে খায়েরের ভাই স্কুল শিক্ষক হারুন শেখের রামদার কোপে মমতাজ বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধু খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত মমতাজ বেগম রুস্তুম শেখের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বড় বোন। নিঃসন্তান মমতাজ বেগম গত সোমবার ওই বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ সময় রুস্তুম শেখের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৮) রামদার কোপে গুরুতর আহত হয়। সে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশে একটি ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারিরা রুস্তুম শেখের গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মমতাজ বেগম ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা গ্রামের ইউনুছ শেখের স্ত্রী। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা আ.লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের গ্রন্থগারিক আবুল কালাম খায়ের ও আ.লীগের সাবেক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সমর্থক প্রতিবেশি রুস্তুম শেখের সাথে ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। এ জমি নিয়ে গত ২০১১ সালে রুস্তুম শেখের চাচাতো ভাই কালাম খায়ের গ্রুপের হাতে নিহত হয়। সেই মামলাটি গত বছর মিমাংসা হয় বলে জানা গেছে।
রুস্তুম শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আমাদের বাড়ির পাশের ডোবায় আমরা মাছ ধরতে যাই। এ সময় খায়ের তার ভাই প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক হারুন তার লোকজন নিয়ে বাধার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমার বড় খালা (মমতাজ বেগম) বাধা দিলে হারুন তাকে রামদা দিয়ে মাথায় একাধিক কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই খালা নিহত হয়। মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় আমার আরও তিন বোনকে বেদম মারপিট করে। আমি কৌশলে পালিয়ে যাই।
এ ব্যপারে আবুল খায়ের মোবাইল ফোনে বলেন, রুস্তুম শেখের বাড়ির কিছু অংশ ও ডোবাসহ আমার ২৬ শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার জন্য তারা নিজেরা এ ঘটনা ঘটিয়ে আমার ও আমার ভাইয়ের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত না।
থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয়। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস