শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যায় ৬ জনের ফাঁসি বহাল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন ৭ জনকে। খালাস দেয়া হয়েছে ১৩ জনকে।

বুধবার দুপুরে বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণদেব নাথের দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলেছেন হাইকোর্ট।

২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। এসময় তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরো একজন। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে টঙ্গি থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ১০/১২ জনকে।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৮ অক্টোবর গঠন করা অভিযোগ। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস দেয়া হয় দুজনকে।

নিম্ন আদালতের রায়ের পর একই বছর ২২ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। ১৪ জন মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। দুজন হাইকোর্টে ফৌজদারি বিবিধ আবেদন করেন। জেল আপিল করেন একজন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে এসব আবেদনের উপর শুনানি শুরু হয়ে শেষ ৮ জুন। বুধবার রায়ের দিন ধার্য ছিলো আগে থেকেই।

তবে ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর টঙ্গি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা আদালত এলাকায় জড়ো হন।

এদিকে, নিম্ন আদালতে ঘোষিত ২২ জনের পরিবর্তে হাইকোর্টের রায়ে ৬ জনের ফাঁসি ঘোষণা করায়, এ রায়ে আংশিক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল।

বুধবার দুপুরে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান আহসান রাসেল।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com