বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যায় ৬ জনের ফাঁসি বহাল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন ৭ জনকে। খালাস দেয়া হয়েছে ১৩ জনকে।

বুধবার দুপুরে বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণদেব নাথের দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলেছেন হাইকোর্ট।

২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। এসময় তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরো একজন। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে টঙ্গি থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ১০/১২ জনকে।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৮ অক্টোবর গঠন করা অভিযোগ। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস দেয়া হয় দুজনকে।

নিম্ন আদালতের রায়ের পর একই বছর ২২ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। ১৪ জন মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। দুজন হাইকোর্টে ফৌজদারি বিবিধ আবেদন করেন। জেল আপিল করেন একজন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে এসব আবেদনের উপর শুনানি শুরু হয়ে শেষ ৮ জুন। বুধবার রায়ের দিন ধার্য ছিলো আগে থেকেই।

তবে ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর টঙ্গি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা আদালত এলাকায় জড়ো হন।

এদিকে, নিম্ন আদালতে ঘোষিত ২২ জনের পরিবর্তে হাইকোর্টের রায়ে ৬ জনের ফাঁসি ঘোষণা করায়, এ রায়ে আংশিক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল।

বুধবার দুপুরে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান আহসান রাসেল।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com