বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার।
এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসানউল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এ ছাড়া টঙ্গীর নতুনবাজার থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পবিত্র কোরআনখানি, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দলীয় নেতাকর্মীদের কালোব্যাজ ধারণ, পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
দুপুরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজবাড়ী মাঠে আহসানউল্লাহ মাস্টারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি থাকবেন গাজীপুর সিটির মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া সরকারদলীয় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনায় অংশ নেবেন।
আহসানউল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে মিলাদ মাহফিলসহ এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আহসানউল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনসভার আয়োজন করে আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া বিশিষ্ট শিক্ষক, আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আলোচনায় অংশ নেন।
২০০৪ সালের ৭ মে একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আহসানউল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে ৩০ আসামির মধ্যে দুজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। ছয়জনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়।
এর মধ্যে প্রধান আসামিসহ ১৬ জন বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বাকি ১০ আসামি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন এবং দুই আসামি মারা গেছেন বলে মামলার বাদী ও আহসানউল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান জানিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টে চূড়ান্ত আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এম.আর