ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সরকারের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে বিবেচিত ইরান এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক চান সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো (কার্যত নেতা) আহমেদ আল-শারা। যিনি আর আগে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন। চলতি আসাদ সরকারের পতনের পর তিনি এই প্রথম যৌথভাবে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আল শারা বলেন, তিনি ইরান এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক চান। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন কোনও সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক সম্মানের এর ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
তেহরান এবং মস্কোর সাথে ভবিষ্যতের যে কোনো সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে সিরিয়ার নতুন শাসকের পদক্ষেপগুলো পশ্চিম বিশ্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
রোববার আল-শারা বলেন, ইরানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দেশের সাথে সম্পর্ক ছাড়া সিরিয়া চলতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘তবে সম্পর্ক অবশ্যই উভয় দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং উভয় দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার উপর ভিত্তি করে হতে হবে’।
শারা তেহরানকে তার আঞ্চলিক নীতি এবং হস্তক্ষেপ পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। তার দাবি, আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার লড়াইয়ের সময় বিদ্রোহী বাহিনী ইরানি সেনাদের রক্ষা করেছিল, যদিও বিদ্রোহীরা জানত যে ইরান আসাদের প্রধান সমর্থক’।
শারা বলেছেন, ‘তিনি এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে ইরানের কাছ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশা করেছেন’।
আল-জোলানি রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি মস্কোর বৈশ্বিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আল-শারা বলেন, ‘রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী রাষ্ট্র। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত স্বার্থ ভাগাভাগি করে।’
আল-শারা আরও বলেন, ‘সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব দেশটিতে রাশিয়ার উপস্থিতি এমন কোনো উপায়ে শেষ করতে চায় না, যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ