বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর মতিঝিল ও লালবাগ থানার দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসলাম চৌধুরীকে হাজির করে দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩০ মে এ দুই মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও মারুফ হোসেনের পৃথক আদালত। আসলামের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেজবাহ জানান, আসলামকে ৫৪ ধারায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে রাজধানীতে নাশকতার দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ঢাকার পৃথক দুই বিচারক আজ শুনানি না করে আগামী ৩০ মে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন। আসলামের আইনজীবী জানান, আজ ৫৪ ধারার মামলায় আসলাম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আদালতে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। আগামী ৩০ মে তাকে রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে আদালতে হাজির করা হবে। মামলাগুলোতে নাশকতার অভিযোগ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়া, বিস্ফোরক ও বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত ১৬ মে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শরফউদ্দিন সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায় আসলাম চৌধুরীকে। গত ১৫ মে বিকেলে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে ১৪ মে আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। এমনকি তাকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার। গত ৯ মে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ। এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস