বাংলা৭১নিউজ, সাভার প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমির দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। আহতদেরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারে বেলমা আড়াগাঁও এলাকায় এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন-সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন (৬৫) এবং ইনসান (৩২)। এ ছাড়া বাকি আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রনি আহম্মেদ, শাহিন, এরশাদ হোসেন ও ইকবাল নামে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার বেলমা আড়াগাঁও এলাকার যুবলীগ নেতা মহিদের ১০ শতাংশ জমি নিয়ে উপজেলা ওই এলাকার সন্ত্রাসী তারেক বাহিনীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে তারেক তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহিদের জমির দেয়াল ভাঙতে যায়। এ সময় মহিদের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা রাসেল ও তাদের লোকজন তারেকের লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ইনসান নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় তারেকের লোকজন শটগান দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন (৬৫) ও ইনসান (৩২) গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ১০ জন। আহতদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইনসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কামাল উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা রাসেল বলেন, আড়াগাঁও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তারেক, ইনসান, এরশাদসহ ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিদের জমি দখল করতে আসে। এ সময় আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ইয়াবা উদ্ধার ও তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছি।
তবে যুবলীগের কী পদে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জীবনে রাজনীতিই করিনি। আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। শিগগিরই বাকিদেরকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস