বাংলা৭১নিউজ, মোঃ হুমায়ুন কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: গ্যাস সংকটের কারণে টানা ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর এক মাস যেতে না যেতেই আবার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িযাার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
গত ১৪ মাস কারখানা বন্ধ থাকার ফলে প্রতিদিন ১২শ’ মেট্রিকটন হিসেবে পাঁচ লক্ষ মেট্রিকটনেরও বেশী ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা ও কারখানায় সারের মজুদ না থাকায় বিদেশ থেকে আমদানি করা সার দিয়ে কারখানার কমান্ড এরিয়াভুক্ত সাত জেলায় সার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হয়েছে। এতে করে বিরাট অংকে লোকসান গুনতে হয়েছে বলে জানান কারখানা কতৃপক্ষ।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ সার কারখানাটি পুরো মাত্রায় চালু রাখতে ৪৮ থেকে ৫২ এম এম সিএফ গ্যাস প্রয়োজন হয়। দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে গত বছরের ১৯ এপ্রিল আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তাই চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। এতে প্রতিদিন ১২শ’ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
কারখানা বন্ধের পর থেকেই এর শ্রমিকরা পুনরায় গ্যাস সরবাহের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেও কোন ফল হয়নি। অবশেষে গত ১৩ জুন কারখানার পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করলেও ১মাস পর হঠাৎ করে আবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এতে আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে ।
বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলী মো. আলী আক্কাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানায় সারের মজুদ না থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি করা সার দিয়ে কারখানার কমান্ড এরিয়াভুক্ত সাত জেলায় সার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। এদিকে বিদেশ থেকে আমদানী করা সারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। আমদানী করা এসব সার দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে রাখার কারণে এসব সার নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কখন কারখানাটি চালু করা সম্ভব হবে তা বলতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস