আগামী নির্বাচনে বিএনপি যেন ৩০টির বেশি আসন পায় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০০৮ সালে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তারা নির্বাচন করলেও প্রথমে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরে উপ-নির্বাচনে আরও দুটি আসন পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বিশাল জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এ নির্বাচনে তারা প্লেয়ারও হায়ার করেছিল।
ওই নির্বাচনে হেভিওয়েট রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনকে তারা হায়ার করেছিল। কিন্তু হায়ারে খেলতে গিয়ে তিনি ভালো খেলেননি। এ বিশাল জোট নিয়ে তারা মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। বিএনপির জনপ্রিয়তা এর থেকেই স্পষ্ট। আমি আশা করবো আগামী নির্বাচনে তারা যেন ৩০টির বেশি আসন পায়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি৷
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না৷ ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সে নির্বাচনে তারাই ৩০টির বেশি আসন পায়নি। খালেদা জিয়ার সেই ভবিষ্যদ্বাণী তার বেলাতেই কার্যকর হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের ভবিষ্যদ্বাণীও যদি তার বেলাতেই সত্য হয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মির্জা ফখরুল যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এ ধরনের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনেই যেতে চায় না, সেখানে আসনের প্রসঙ্গ কীভাবে আসে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং তারা চাইলেও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসতে পারবে না। যেহেতু কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে সেহেতু আশা করবো তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ