বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
তবে নজরদারি ব্যবস্থা আরো কঠোর হচ্ছে। মেটাল ডিটেক্টরের বদলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি সরকার।
আল-আকসা মসজিদের পরিচালক শেখ নাজেহ বাকিরাত বলেছেন, মেটাল ডিটেক্টর তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে মুসলিমদের দাবি পূরণ হচ্ছে না, কারণ নজরদারির জন্য নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
শেখ রায়েদ সালেহ নামে আল-আকসার এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ‘১৪ জুলাইয়ের পর যা কিছু যুক্ত হয়েছে, সেসব প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বর্তমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না ফিলিস্তিনিরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই মুহূর্ত পর্যন্ত চিত্র পরিষ্কার নয়, মধ্যরাতে তারা এটি করছে, রাতের আঁধারে; বাদুড় যেমন করে থাকে। আল্লাহ জানেন, আগামী সকালে কী ঘটতে যাচ্ছে।’
সোমবার দুই দফায় কয়েক ঘণ্টা বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের পাশে ১৪ জুলাই বন্দুকধারীর গুলিতে দুই ইসরায়েলি নিরাপত্তারক্ষী প্রাণ হারান। এ ঘটনার পর নিরাপত্তার অজুহাতে দুই দিন মসজিদ বন্ধ রাখে ইসরায়েল। এ নিয়ে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ রক্তাক্ত রূপ নেয়। পরিস্থিতি শামাল দিতে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে মুসল্লিদের মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু মুসলিমারা তা প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে সংঘর্ষে পাঁচ ফিলিস্তিনি ও তিন ইসরায়েলি নিহত হন। বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন।
আল-আকসা মসজিদ ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট ও মুসলিমদের কাছে হারামা আল-শরিফ নামে পরিচিত। মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হারাম আল-শরিফ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস