আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ধরনের লোক, যারা প্রত্যেকেই সম্পূর্ণরূপে মহান আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। সে বেঁচে থাকলে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট এবং মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
এক. যে ব্যক্তি নিজের ঘরে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে, তার জন্য মহামহিম আল্লাহ জামিন হন।
দুই. যে ব্যক্তি মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়, তার জন্য আল্লাহ জামিন হন।
তিন. এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে সংগ্রামে রওনা হলো, তার জন্যও আল্লাহ জামিন হন। (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ১১০৪)
উপরোক্ত তিন শ্রেণির ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তাআলা রিজিকের নিরাপত্তা দিয়েছেন। তারা দুনিয়াতে যত দিন থাকবে আল্লাহ তাআলা প্রয়োজন পরিমাণ রিজিক দান করবেন।
সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করা
এর দ্বারা উদ্দেশ্য যে ব্যক্তির অভ্যাস হয়ে যাবে, যখনই সে ঘরে প্রবেশ করে, তার পরিবার-পরিজনের ওপর সে সালাম দেয়। তাদের জন্য নিরাপত্তা এবং শান্তির দোয়া করে। কারণ সালামের মাধ্যমে মানুষ অন্যের জন্য কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে, সালাম শান্তির বার্তাবাহক। আর যে ব্যক্তির এ অভ্যাস হয়ে যাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়াতে শান্তিতে বসবাস করাবেন। কারণ সালাম হচ্ছে উত্তম চরিত্রের চাবিস্বরূপ। আর যে ব্যক্তি এভাবেই তার ঘরে সালাম দিয়ে প্রবেশ করাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, ফেরেশতারাও সে ঘরের রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত হয়ে যান। সে জন্য আমাদের উচিত প্রত্যেকেই নিজেকে এই আদর্শের ওপর গড়ে উঠানো।
মসজিদে গমন
যে ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা রিজিকের ওয়াদা করেছেন। কারণ মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা দুর্বল ঈমানদারের পক্ষে সম্ভব নয়। এর দ্বারা বোঝা যায়, সে নামাজের প্রতি অত্যন্ত যত্নবান। আর নামাজের প্রতি যত্নবান ব্যক্তিদের জন্য আল্লাহ তাআলার রিজিকের ওয়াদা রয়েছে। আর পরকালে এর প্রতিদান তো আছেই। বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যারা অন্ধকার রাতে মসজিদে যাতায়াত করে তাদের কিয়ামতের দিন পূর্ণ জ্যোতির সুসংবাদ দাও। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫৬১)
তাই সময়মতো মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে নিজেকে অভ্যস্ত করানো উচিত।
আল্লাহর পথে লড়াই করতে বের হওয়া
আল্লাহর দ্বিন উঁচু করার লক্ষ্যে যে ব্যক্তি নিজের জীবন ও সম্পদ দ্বিনের পথে বিসর্জন দিয়ে দেয়, তার জন্য আছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিশাল ওয়াদা। কারণ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর পথে লড়াইয়ে বের হয়, তার মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ তার দায়িত্বশীল। অতঃপর আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন কিংবা তাকে নিরাপদে তার নেকি ও গনিমতসহ তার বাড়িতে ফিরিয়ে আনবেন। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৯৪)
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ