প্রতি বছরের মতো এ বছরও আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহম্মদ তাহের শাহ’র নেতৃত্বে রাজধানীতে বিশাল জসনে জুলুস ও ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্ট, ঢাকার উদ্যোগে জুলুসটি সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা হতে শুরু হয়। জুলুসটি শাহজাহান রোড, ইকবাল রোড, আসাদ অ্যাভিনিউ, শিয়া মসজিদ, রিং রোড, শ্যামলীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মাদ্রাসা ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।
মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত মিলাদুন্নবী মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৪১তম বংশধর আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)।
প্রধান অতিথি ছিলেন পীর আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মাদ্দা জিল্লুহুল আলী)। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসিম শাহ্ (মাদ্দা জিল্লুহুল আলী)।
এ সময় পীর আল্লামা সাবির শাহ্ বলেন, আল্লাহ পাকের নেয়ামতসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সৃষ্টি। তাঁহার সৃষ্টিতে ধন্য হয়েছে সমগ্র সৃষ্টিজগত। যার সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ বলেন, আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না (আল-কোরআন)। তাই এবাদত বন্দেগি ও খুশি উদযাপনের মাধ্যমে এই মহানেয়ামত প্রাপ্তির শোকর আদায় করতে হবে আমাদের।
তিনি বলেন, নবী প্রেমই ঈমানের মূলমন্ত্র। যার অন্তরে নবীর প্রেম আছে সেই সত্যিকার মানবিক মানুষ, সেই সফল। সে কখনও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী হতে পারে না। ফরজ নামাজ বাদ দেওয়া দূরে বরং মহানবীর প্রত্যেকটা সুন্নাতকে যত্ম সহকারে আদায় করবেন। মূলত সমাজের সত্যিকারের আদর্শবান, নৈতিকবোধ সম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক দ্বীনদার মানুষ হওয়ার জন্য, বিশেষ করে ঘুষ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠাই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ অনুস্মরণের কোনো বিকল্প নাই।
ড. মাওলানা মুহাম্মদ নাসির উদ্দিদের সঞ্চালনায় মাহফিলের বিশেষ অতিথি শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসিম শাহ বলেন, রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু তা-আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণেই মূলত পৃথিবীতে অশান্তি নেমে এসেছে। যারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নবী-অলিদের প্রতি বিদ্বেষী করে তোলে। হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামী অনুষ্ঠানমালা যেমন-ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে বরাত, শবে মেরাজ ও ফাতেহা ইত্যাদির বিরোধীতা করে, তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা দরকার।
মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্ট, ঢাকার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শহীদ উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আঞ্জুমানের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ঢাকার সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তাৎপর্য তুলে ধরে বয়ান করেন-কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্য আলহাজ্ব মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হকসহ দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।
পরিশেষে খতমে গাউসিয়া ও মিলাদ কেয়াম শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজত করেন আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ