দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর আলোকিত হওয়ার পথে নোয়াখালীর সবুজ দ্বীপ হাতিয়া। সাত লাখ মানুষের এ দ্বীপে স্থাপিত হয়েছে ১৫ মেগাওয়াটের হেভি ফুয়েল ওয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট। এরই মধ্যে প্রায় ৫১২ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। এমাসেই শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসতে পারে দ্বীপবাসী।
বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হতে যাচ্ছে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। ৭ লাখ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আর কয়েকটি দিনের অপেক্ষা।
দ্বীপবাসীর বিদ্যুতের কষ্ট লাঘবে ২০২১ সালের আগস্ট থেকে শুরু হয় নতুন বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের কাজ। এক বছরের মধ্যেই ১৬ একর জমিতে ১৫ মেগওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়। দ্বীপের মূল ভূখণ্ডের ৯টি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৫১২ কিলোমিটার ৩৩/১১ ভোল্টের সঞ্চালন লাইন।
মূল ভূখণ্ড থেকে দেড় কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নিঝুমদ্বীপেও দেয়া হয়েছে সঞ্চালন লাইন। দেশ এনার্জি উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে পিডিবি।
হাতিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের উপ-সহকারি প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, “প্রকল্পের আওতাধীন যে কাজ চলছে তা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির কাজ শেষের দিকে। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো।”
লাইন সঞ্চালনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, দ্রুতই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে আশাবাদী সংসদ সদস্য।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, “প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এলাকাবাসী খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। আমরা ৭ লাখ দ্বীপবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।”
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়। এখন শুধুই আলোকিত হওয়ার প্রতিক্ষা।
এলাকাবাসীরা জানান, “এই বিদ্যুতায়নের সবচেয়ে খুশির ব্যাপার হলো, হাতিয়ার বেড়িবাঁধের বাহিরের শিক্ষার্থীরা এখন কম্পিউটার শিখতে পারবে। তাদের ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছে যাবে। বদলে যাবে হাতিয়াবাসীর চালচিত্র।”
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি ও মৎস্য নির্ভর এ দ্বীপে নতুন নতুন কলকারখানা স্থাপনের প্রত্যাশা সকলের।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ