বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনের দুর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশয় পশ্চিম বগুড়ার সান্তাহার ও এর আশপাশ এলাকাসহ উত্তরাঞ্চলে জেকে বসেছে শীত। হারকাপানো তীব্রশীতে ট্রেন ও বাসের সিডিউল বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এতে দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। গত কয়েক দিনে হারকাপানো শীতে শিশু ,নারী,পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের শত শত ব্যাক্তি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব আক্রান্ত রোগীরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানাগাছে। হটৎ করে গত কয়েকদিনের দুর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়ায় এবং ঘন কুয়াশা এসব এলাকায় জেকে বসেছে শীত। গত তিন চার দিন এসব এলাকায় সূর্য়ের দেখা না গেলেও বুধবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে। হাড় কাপানো শীতের কারণে দিনদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারনে গতি কমেছে ট্রেন বাসসহ যাত্রী পরিবহনের। ফলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্য়রে কারনে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী আন্ত ঃ নগর একতা, দ্রতযান, নীলফামারী থেকে নীলসাগর, লালমনির হাট থেকে লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেসসহ উত্তরাঞ্চলের সাথে দক্ষিণঞ্চলের চলাচলকারী ট্রেনগুলো ৪/৫ ঘন্টা বিলম্বে চলাচর করছে। এছরাও ঢাকাগামী বাসগুলো ১০ থেকে ১২ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছে বলে জানাগাছে। ফলে যাত্রী এবং সর্বসাধারন ও শ্রমজীবি মানুষেরা পরেছে দুর্ভোগে। চাকুরীজীবি ও প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাসাবাড়ী থেকে বাহিরে বের হচ্ছেনা কেউ। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শহরের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরগুলো হয়ে পরছে জনজীবন শন্য। শীত বস্ত্রের অভাবে শীতে কাহিল হয়ে পরেছে হতদরিদ্র পরিবার ও রেল ষ্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষরা। খড় জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছেন শিশু, কিশোরসহ সববয়সের মানুষ। এছাড়ও কৃষি কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অসময়ে বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে শীতকালীন সবজি ও ইরিবোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। বিষেশ করে আলু সরিষার ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা বেশী চিন্তিত। একটানা বিরুপ আবহাওয়া থাকলে আলু সরিষার ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস