বাংলা৭১নিউজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত কৃষক সাহানুরের মৃত্যু হয়েছে।
পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
নিহত সাহানুর মধ্য বাখইল গ্রামের মারফত মণ্ডলের ছেলে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত উভয়পক্ষের তিনজন নিহত হন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার রহমান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বিল্লাল হোসেন ও এনামুল হোসেন নামে দুজন নিহত হন।
ওই সংঘর্ষে কেরামত গ্রুপের সমর্থক সাহানুর বুকে ফালা বৃদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় উভয়পক্ষের আরও ১০ জন আহত হন। গত পাঁচদিন পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সাহানুরের চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়নে দুইপক্ষের সংঘর্ষে কৃষক সাহানুরের বুকে ফালা বৃদ্ধ হয়েছিল। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
আজ সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই কমলেশ দাস বাদী হয়ে হত্যা এবং পুলিশকে মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অপরাধে ১শ’ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত আরও তিনশ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহসহ প্রায় ৩০ জনকে পুলিশ আটক করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস