বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ রায়ের কপি পৌঁছানোর চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ রায়ের ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালতে আলতাফ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করা হয়।
চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এ চলছে।
খালেদা জিয়া, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ছাড়াও ওই মামলায় আসামিরা হলেন মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (মৃত্যুদণ্ড কার্যকর), এম সাইফুর রহমান (মৃত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ব্যারিস্টার আমিনুল হক, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস