বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের দুটি পৃথক অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ নিয়ে পাঁচটি মামলার জামিনের আবেদন করা হলো।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা প্রমুখ।
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ রানা জানান, অনুমতি নিয়ে আমরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন দায়ের করেছি। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আরো জানান, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানির অভিযোগে একটি মামলা করেন।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান এই মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২০১৭ সালে ১২ নভেম্বর এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে সেই পরোয়ানা তামিল করা হয়নি। সবশেষ ১৭ মে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বিচারিক আদালত।
অন্যদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সাংবাদিক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার ৪টি জন্মদিন পাওয়া গেলেও ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন মর্মে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি ৪টি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী তথা জাতীয় শোক দিবসে ঘটা করে জন্মদিন পালন করছেন।
এই মামলায় ২০১৬ সালে ১৭ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে তামিল করা হয়নি। সবশেষ ১৭ মে এই মামলায়ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও আদেশ না দিয়ে আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বিচারিক আদালত। এই দুই মামলায়ই এখন জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হলো।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস