বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে (আরএনবি) ২০১৭ সালে ১৮৫ জন সিপাহী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে আরএনবির বর্তমান দুই চিফ কমানড্যান্টসহসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। মামলায় ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- আরএনবি পূর্বাঞ্চলের চিফ কমানড্যান্ট জহিরুল ইসলাম (৫১), পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কনমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম (৩৩), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ফুয়াদ হাসান পরাগ (৩৩), রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক এসপিও মো. সিরাজ উল্যাহ এবং পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদ। এর মধ্যে জহিরুল ইসলাম ঘটনার সময়ে ঢাকা বিভাগের কমান্ড্যান্ট এবং রেলওয়ের নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আশাবুল ইসলাম রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট এবং ওই তিনি নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। ফুয়াদ হাসান পরাগ ঘটনার সময়ে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল সদরের কমান্ড্যান্ট এবং নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন। ফারুক উল্লাহ ওই নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সৈয়দ ফারুক আহমেদ ওই নিয়োগের অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ছিলেন।
অন্যদিকে আরএনবি পূর্বাঞ্চলের সাবেক চিফ কমানন্ড্যান্ট মো. ইকবাল হোসেনের (৬০) বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানকালে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ২০১৭ সালে আরএনবির ১৮৫ জন সিপাহী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানা তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে ২০১৭ সালে চতুর্থ শ্রেণির পদ হিসেবে ১৮৫ জন সিপাহী নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। একই বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, সদস্য ও অনুমোদনকারী হিসেবে ন্যস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই নিয়োগে লাভবান হয়েছে।
তাছাড়া পরিকল্পিতভাবে বিশেষ কোটার প্রার্থী যেমন মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটার প্রার্থীদের পাসের কাছাকাছি নম্বর দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেখিয়ে ওই কোটায় পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এবং বিভাগীয় কোটা, জেলা কোটা, পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা বিধি অনুযায়ী যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ