বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নাসির হোসেনকে দলে রাখতে সুপারিশ করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পেছনের সেই স্মৃতি রোমন্থন করে মাশরাফি বলেন, ‘বোর্ড প্রধান আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তুমি কি চাও? আমি বলেছিলাম নাসিরকে দলে চাই।’
দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে নাসির হোসেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দেশের হয়ে খেলেছিলেন নাসির। সবশেষ প্রায় একবছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেন নাসির। ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নাসিরকে রাখা হয়েছিল মূলত মাশরাফির সুপারিশের কারণে।
‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ছিল না নাসির। পরের ম্যাচে আমার মনে হয়েছিল নাসিরকে আমার লাগবে। আমি চেষ্টা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত বোর্ড প্রধান আমাকে সাহায্য করেছিল।’ মন্তব্য মাশরাফির।
নাসিরকে দলে রাখতে আমি ওকে দিয়ে বেশি বেশি বোলিং করিয়েছি বললেন মাশরাফি। ‘নাসির যখন ব্যাট হাতে রান পাচ্ছে না। আমি তখন ওকে দিয়ে বেশি বেশি বোলিং করানোর চেষ্টা করেছি। যাতে ওর আত্মবিশ্বাসটা ফিরে আসে। আমার আশা ছিল, অন্তত কিছু একটা করে জায়গা ধরে রাখুক নাসির।’
সবশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসির। বল হাতেও নেন উইকেট। ফেরান ‘বিপজ্জনক’ মইন আলিকে।
এছাড়া জাতীয় লিগে তিন ম্যাচের চার ইনিংসে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান নাসির। যদিও বোলিংয়ে করার খুব একটা সুযোগ পাননি তিনি। ১০৯.৩৩ গড়ে ৩২৮ রান করেছেন নাসির। হাঁকিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক।
তার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১০টি ইনিংসে ১৯৫ রানের পাশাপাশি শিকার করেছেন ৪টি উইকেট। আর ফিল্ডিংয়ে দেখিয়েছেন দারুণসব কারিশমা। তালুবন্দি করেছেন ৮টি ক্যাচও। ঢাকার হয়ে সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে নাসিরের নাম।
দেশের জার্সিতেও নাসিরের ক্যারিয়ার খুব একটা খারাপ না। একদিনের ক্রিকেটে ৫৮ ম্যাচ থেকে ১২৬২ রান করেছেন নাসির। যেখানে তাঁর গড় ৩২ এর উপরে। রয়েছে ১টি শতক আর ৬টি অর্ধশতকের ইনিংস।
কেবল ব্যাটিংয়েই নয়, বল হাতেও অনেকখানি সফল নাসির। ৫৮ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে পুরেছেন ২১টি উইকেট। যেখানে তাঁর বোলিং ইকোনমিক রেট ৪.৬১। টেস্টে ১৭ ম্যাচে ৯৭১ রানের পাশাপাশি ৮ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৩১ ম্যাচ থেকে করেছেন ৩৭০ রান। রয়েছে ৭টি উইকেটও।
বাংলা৭১নিউজ/এম