বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনও বর্জন করলে দলের কেউ ভোটে আসলে তাকে ঠেকাতে পারবে না। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, বিএনপিকে ভোটে আনতে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আগের দিন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সরকারের কিছু করার নেই। তারা ভোটে আসতে কাউকে জোর করতে পারে না।
রাজনৈতিক অঙ্গণে গুঞ্জন আছে, বিএনপি ভোটে না এলেও এবার দলের একটি অংশ নির্বাচনে যাবে। এই বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নির্বাচন আসলে বলা যাবে। তবে সরকার এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেবে না।’
‘তবে যদি কেউ নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে তাকে তো আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’
বিএনপিকে ভোটে আনতে সরকারের কি কোনো উদ্যোগই থাকবে না?- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা না আসলে সরকার কেন তাদের অনুরোধ করবে?’ ‘এসব ভাঙা রেকর্ড বন্ধ করুন’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের কোনো ত্রুটি নেই। কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দিচ্ছে না। এজন্য তারা অফিসে বসে ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন।’
‘বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে আসবে না, তারা এভাবে যে ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। এতে লাভ হবে না। তারা না আসলেও নির্বাচনী ট্রেন তাদের জন্য থেমে থাকবে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’
‘বিএনপি আগেও নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন, জনগণ তা হতে দেয়নি। এবারও তাদের প্রতিহত করবে জনগণ। তারা কখনোই দেশে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।’
তারেক রহমানকে দেশে থেকে ফিরে আনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত কথা বলেছেন। এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে সে যেহেতু সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাই অবশ্যই তাকে ফিরে আনতে সরকারের চেষ্টা আছে, থাকবে।’
‘তবে সমস্যা হচ্ছে তারেক দেশে ফিরে আসুক এটা বিএনপিরই অনেক নেতা চায় না।’
ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত বলেছেন। তিনি যে কথা বলেছেন সেটাই আমার কথা। এখানে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস