বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনো মামলারই আইনগত ভিত্তি নেই উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি রাজনীতিতে সক্রিয় বলেই আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বকশী বাজারের আলীয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ মামলার অসমাপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পঞ্চম দিনের মতো তার জবানবন্দী দিয়েছেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে তিনি আরো বলেন, আমি এ মামলার বিবরণ থেকে জেনেছি এবং কুয়েত দূতাবাসের চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, শহীদ জিয়াউর রহমানের নামে এতিম খানা প্রতিষ্ঠার জন্য অনুদান দিয়েছিল। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিলো না। আমি আরো জেনেছি যে, কুয়েতের দেয়া অনুদানের অর্থ দুই ভাগ করে দু’টি ট্রাস্টকে দেয়া হয়। এতে আইনের কোনো লঙ্ঘন হয়নি এবং ব্যাক্তিগতভাবে আমি কিংবা অন্য কারো লাভবান হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া, ট্রাস্ট দু’টির কোনো পদে আমি কখনো ছিলাম না বা এখনো নেই।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও আমার কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা ছিলো না। খালেদা জিয়া আরো বলেন, মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ থেকে আরো জানতে পেরেছি যে, বগুড়ায় এতিম খানা স্থাপনের লক্ষ্যে সে জমি ক্রয় করে। এই জমি ক্রয় সম্পর্কেও কোন অভিযোগ নেই। এই ট্রাস্টের বাকি টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে এবং তা সুদাসলে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও আদালতে বলেন তিনি।
এদিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ক্ষমতাসীনদের পছন্দ না হওয়ায় তাকে (এসকে সিনহা) এভাবে চলে যেতে হয়েছে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়ায় প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অপতৎপরতা শুরু হয়। ক্ষমতাসীন মহল তাদের ক্রোধ গোপন রাখতে পারেনি। তারা (ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ) প্রকাশে প্রধান বিচারপতিকে হুমকি দিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেয়া শুরু করে।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেয়ায় তাকে (এসকে সিনহা) পদত্যাগ করতে এবং বিদেশে চলে যেতে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি আত্মপক্ষ সমর্থনে বিভিন্ন সময় ব্যাখ্যা দিয়েও ক্ষমতসীনদের ক্রোধ থামাতে পারেননি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস