বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের সংগ্রামের প্রধান অনুপ্রেরণা হলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি তার লেখনী দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এজন্য তিনি দুঃশাসনের অভিঘাতের শিকার হয়েছেন। তিনি কারাগারে গেছেন, নানা ধরনের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।
আজ শনিবার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এখনো কথা বলতে গেলে একধরণের ভীতি সঞ্চার হয়, চলাচল করতে গেলে, জীবনযাপন করতে গেলে ভীতি সঞ্চার হয়। তাই এরকম একটি সময়ে নজরুল খুবই প্রাসঙ্গিক।
‘তিনি হলেন বিশ্ব মানবতার কবি, দ্রোহের কবি। তিনি অন্যায় অত্যাচার অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি গোঁড়ামি, কুসংস্কারাচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আবার অন্যদিকে প্রেম ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মানুষকে। মায়া ভালোবাসা ও মানুষের সাথে মানুষের বন্ধনের জন্য লেখনীর মাধ্যমে জাগ্রত করেছেন।
দেশের এমন ভীতির মধ্যে আমাদের যে সাহসের প্রেরণা যোগায় কবি নজরুলের কবিতা ও গান। আজকে জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে জাসাসসহ-অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আছেন। ’
রিজভী আরো বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একটা কথা বলেছিলেন আমরা যখন যুদ্ধে যাবো নজরুলের গান গাইবো, আমরা যখন মিছিলে যাবো তখন নজরুলের গান গাইবো, আমরা যখন কারাগারে যাবো তখনও নজরুলের গান গাইবো। আজও এই গণতন্ত্র হারা বাংলাদেশে আমরা নজরুলের গান গাই কবিতা আবৃতি করি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, জাসসের জাকির হোসেন রোকন, জাহিদুল আলম হিটো, আহসান উল্লাহ, সৈয়দ আশরাফুল মজিদ, মিজানুর রহমান, বিল্লাল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম