‘আজকের আমলাই ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী। তারা এখন নানা পরিচয়ে মানুষের সামনে হাজির হন, যা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সোমবার নাগরিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
‘সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৮ ও ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলাদেশ এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) সহযোগিতায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে দেবপ্রিয় বলেন, ‘আজকে যিনি আমলা, কাল তিনি রাজনীতিবিদ, পরের দিন তিনি ব্যবসায়ী। এটাই তো সমস্যা হয়ে গেছে। ওনারা বহুরূপে এখন আমাদের সামনে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে এই তিনটি একই হয়ে গেছে।’
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কে বেশি ক্ষমতাধর- আমলা, রাজনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী?’
এই প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীরা সমন্বরে বলেন- আমলারা।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশ ঘুরে আলোচনা করেছি। সেসব আলোচনায় আমলাদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হিসেবে বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রে এই তিন পরিচয় একই ব্যক্তির হয়ে গেছে।’
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন হলে সাধারণ অজুহাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্তের সংস্কৃতি রোধ করা যায় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজেট বরাদ্দ দেয়া যায়।
সিপিডির এই সম্মানিত ফেলো রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি প্রতীক ব্যবহারের বিধান প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।
সিপিডির সম্মানীত ফেলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির আরেক সম্মানীত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারত্নে প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি