নোয়াখালীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে শ্লীল ছবি তুলে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অশ্লীল ভিডিওসহ পাঁচটি মোবাইলফোন ও এক ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা জোবেদা, নারগিছ আক্তার, মো. মহসিন টিটু, জহির উদ্দিন ও ইসমত আরা।
পুলিশ জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলায় অশ্লীল ছবি তুলে চাঁদা আদায় করা অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। হঠাৎ করে ভুক্তভোগী আবদুল খালেক বেচুর অভিযোগে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত থেকে বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী আবদুল খালেক বেচু জানান, মঙ্গলবার বিকেলে দত্তবাড়ির মোড়ে পূর্বপরিচিত মহসিন টিটু আমাকে চা-পানের আমন্ত্রণ জানায়। পরে সে জোর করে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তার ঘরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে টিটু বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও জানান, অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে এক নারীসহ আরও পাঁচজনকে নিয়ে ঘরে ঢোকে টিটু। পরে তারা জোর করে আমাকে উলঙ্গ করে। একই সঙ্গে সেখানে থাকা এক নারীর সঙ্গে ছবি তোলে। এ সময় ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে টাকা না পেয়ে মোটরসাইকেল রেখে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী বেচুর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ