আবারো বিজয়ের পথে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই বিজয়ের ফলে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত সরকারের গঠণের পথে। আর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবার নিয়ে পঞ্চম বারের মত প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
এদিকে বেসরকারি ফলাফলে রাত সাড়ে ১১টপা পর্যন্ত যারা নির্বাচিত হয়েছেন-
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
রংপুর ৩ (সদর-সিটির আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষণা করা হয়, নৌকা প্রতীকে সাকিব পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
যশোর ৬ (কেশবপুর) নির্বাচনীএলাকায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর মোট ভোট ৪৮ হাজার ৯৪৭ । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ -২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ভোট। জয়া প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী।
সুনামগঞ্জ -৫ আসনে (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়েছেন।
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। শাহাব উদ্দিন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।
ঝালকাঠি -১ ( রাজাপুর – কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪ ভোট।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র–ঈগল) ১ লাখ ৮ হাজর ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।
যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বিজয়ী হয়েছেন। এনামুল পেয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।
পাবনা ৪ ( ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।
যশোর–৬ (কেশবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৭টি । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা) ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী শাহীন (লাঙ্গল) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন।
পটুয়াখালী -১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল) ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব) ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন।
পটুয়াখালী- ৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নৌকার প্রার্থী এস এম শাহজাদা ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন (ঈগল) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট।
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হলেন শিবলী সাদিক। নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক এক লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।
বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয়বারের মত বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল- মোংলা) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি এক লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বেসরকারি ভাবে সংসদসদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৯৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।
শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে জয় পেয়েছেন এ ডি এম শহিদুল ইসলাম (নৌকা)। তিনি এক লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আব্দুল্লাহহেল ওয়ারেজ (স্বতন্ত্র– ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭২৮।
পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগকারী মীর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
দিনাজপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ভোট।
রংপুর ৩ (সদর-সিটির আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
পাবনা-২ (সুজানগর- বেড়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ফিরোজ কবির ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।
বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মাগুরা–১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে নৌকা প্রতীকে সাকিব পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৪ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৫২ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮ ভোট।
নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (প্রতীক–কাঁচি) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে নৌকা ও দুটিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জি এম ফরহাদ হোসেন ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান (কাঁচি) ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২ লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল (আম) পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬।
পটুয়াখালী -২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হেরে গেছেন। তাঁকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান। শফিকুর পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯০৬ ভোট। ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বেসরকারিভাবে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তিনি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭২৮ ভোট।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে রাশেদ খান মেনন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩ ৯৭ভোট।
বরিশাল-১ আসন (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।
জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিজ নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে হেরে গেছেন।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। আসাদুজ্জামান নূর এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো নীলফামারী-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ফল ঘোষণা করেন।
টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
মেহেরপুর-১ ( সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৪ হাজার ৩০৩টি। ফরহাদ হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন ।
মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে বেসরকারি ফলাফলে মহিব্বুর রহমান (নৌকা) ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান (ঈগল) পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নকলা ও নালিতাবাড়ীর দুই সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আজ রোববার রাত আটটার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হলেন মো. আব্দুস শহীদ। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হলেন তিনি। আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৯১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টে প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানী মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩শ ৯০। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মিনার প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) চার হাজার ভোট পেয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-২ (সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক) ৯৫ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৮ ভোট।
রংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১০৮। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শেখ হাসিনা (নৌকা) ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আম– এনপিপি) ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা (গোলাপ ফুল–জাকের পার্টি) পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি