বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে এই মিঠুনে ভর করেই ২০০ পার করেছিল বাংলাদেশ; স্বপ্ন দেখেছিল আড়াই শ রানের একটা ইনিংসের। প্রথম ম্যাচে সেটা হয়নি। আজ হবে কি না এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (৩৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৮০ রান) বলা যাচ্ছে না কিছুই। তবে চিত্রনাট্য ঠিক প্রথম ম্যাচের মতোই। আজও নায়ক সেই মিঠুনই। তাঁর অর্ধশতকের ওপর ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে বাংলাদেশ।
লিটন-তামিম-সৌম্যদের বিদায়ের পর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন মিঠুন। ফার্গুসনের বলে মুশফিক আউট হয়ে ফিরলে মিঠুনকে সঙ্গ দেয় সাব্বির রহমান। এ দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৭৫ রানের জুটি। এর মাঝে অবশ্য মাহমুদউল্লাহও ক্রিজে এসেছিলেন অল্প সময়ের জন্য। ব্যক্তিগত ৭ রান করেই মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান। মিঠুন-সাব্বির জুটি ভালোই ছড়ি ঘোরাচ্ছিল কিউইদের মাথার ওপর।
শুরুর ধাক্কা মোটামুটি কাটিয়ে না উঠতেই মিঠুন ফিরে যান সাজঘরে। ৭ চার ৬৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে অ্যাসলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিঠুন। আপাতত মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দিকে এগোচ্ছেন সাব্বির রহমান। ৩১ রানে অপরাজিত আছেন সাব্বির, মিরাজ ক্রিজে আছেন ১১ রান নিয়ে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই লিটন দাসকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গী হয়ে নামা এই ওপেনার ফিরে যান ম্যাচের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই। স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের মাত্র ৫ রান। বোল্টের বলে ফার্গুসনের দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হন লিটন। লিটনের আউটের পর আবারও বৃষ্টি ঝরতে থাকলে মিনিট বিশেক খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়ারেরা।
খেলা শুরু হওয়ার পর খানিকটা খোলসে বন্দী থাকা তামিম ইকবালও ফিরে যান দলের ১৬ রানের মাথাতে। ৬ দশমিক ৫ ওভারে হেনরির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। ১৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে তখন আশার আলো দেখাচ্ছিল সৌম্য-মুশফিকের জুটি। কিন্তু ফের ভালো কিছুর আশা জাগিয়ে সৌম্য সরকার ফিরে যান দলের ৪৮ রানে। সাজঘরে যাওয়ার আগে নিজে ২৩ বল খেলে করেন ২২ রান।
বাংলা৭১নিউজ/এস ই