বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রাজধানীর ফার্মগেট ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিভিন্ন গাড়ির চালকের লাইসেন্স আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১ টার দিকে একদল শিক্ষার্থীকে এই এলাকায় এসে গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা যায়। তাছাড়া শাহবাগ, ফার্মগেট, প্রগতি সরণি, রায় সাহেব বাজারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। ফলে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, রাজধানীর বসুন্ধরার নদ্দায় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া সুপ্রভাত বাসের চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন খোদ ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। যে ড্রাইভার সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তাঁর হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স ছিল। এটি নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব! তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তাঁর দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল রাজধানীর প্রগতি সরণিতে এই ঘাতক ড্রাইভারের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আজ দ্বিতীয় দিনেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রগতি সরণির নর্দ্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বহনের জন্য বিইউপির একটি বাস সকালে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আবরার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেও সড়ক নিরাপদ চাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সড়কে লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস