বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ১ লাখ টাকার ওপর ব্যাংক হিসাবে বছরে আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব জনগণ পছন্দ করেনি জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান।
আজ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৭-১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বক্তব্যকালে বগুড়ার-১ আসনের ওই সংসদ সদস্য এ দাবি করেন।
আবদুল মান্নান বলেন, বাজেট প্রস্তাবে এই বিষয়টি ওঠার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হলেও অর্থমন্ত্রী তার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে না আসার ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীকে বলব এখানে জেদ করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আগে কাটা হতো সহনীয় পর্যায়ে। মানুষ এখন মনে করছে এটা প্রত্যাহার করা উচিত। ৮০০ টাকা যদি আবগারি শুল্ক কাটা হয়, আরো অন্যান্য চার্জ কাটা হয়, তাহলে মূল টাকা কমে যায় কি না, সে নিয়ে কথা উঠেছে। ব্যাংকে মানুষ অনেক খোঁজ খবর নিচ্ছে।
গত ৮ জুন সিলেটে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী জানান, আবগারি শুল্কের হার বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা হলেও পিছিয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ।
মুহিতের এই বক্তব্যের জবাবে সংসদ সদস্য মান্নান বলেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী সিলেটে বলেছেন, এটা (আবগারি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত) প্রত্যাহারের বিষয়ে তার পরিকল্পনা নেই। আমি বলছি এখানে জেদ করার কিছু নেই। আ. লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আমরা ভোটের রাজনীতি করি। সেই বিষয়টা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।’
নিত্যপণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ না করে খাতভিত্তিক আলাদা হার নির্ধারণের প্রস্তাবও করেন আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, আমি ভ্যাটের পক্ষে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন। এখানে ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ী আছে। আপনিও তাদের সাথে কথা বলেছেন। মনে হয়েছিল এটা ১৫ শতাংশ না হয়ে ১৩ শতাংশ হবে। কিন্তু সেটা হয়নি।’
আলোচনায় পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সাইদুর রহমান বলেন, ব্যাংকে ১ লাখ টাকা থাকা খুব বড় বিষয় নয়। অনেক শ্রমজীবী মানুষেরই ব্যাংক লাখ টাকা থাকতে পারে। এ ব্যাংক হিসেবে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা ঠিক হবে না। আমি দাবি করব সাধারণ জনগণের ওপর করের হার না বাড়িয়ে সিগারেটের মতো পণ্যে কর বৃদ্ধি করেন। এ ছাড়া এবারের বাজেট সুন্দর বাজেট হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস