বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে চমৎকার আয়োজন উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আপনারা সবাই পান্তাভাত খাইয়েছেন?’ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে অনেক খুশি হয়েছি। আমি এখান থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য খুবই এক্সসাইটেড হয়ে আছি। ময়মনসিংহে আমি সাত বছর ছিলাম। এরপর ঢাকায় চার বছর এফসিপিএস করেছি। এখানে এসে মনে হচ্ছে, আমার দ্বিতীয় বাড়িতে এসেছি।’
সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে হাজারো কণ্ঠে ‘তোমার কাছে এ বর মাগি, মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে’ গানে বরণ করা হয় বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ সালকে।
‘লিভার আয়ুশ-চ্যানেল আই হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ ১৪২৬’ আয়োজনে এবার উপস্থিত ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বর্ণিল এই উৎসবের আয়োজন বসেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উন্মুক্ত চত্বরে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘ফলে ও ফসলে যেন সমৃদ্ধ হয় নতুন বছরটি।’
মঞ্চে যখন কথা বলছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, তখন তাঁর পাশে ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ ও সুরের ধারার চেয়ারম্যান বরেণ্য সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সুরের ধারার শিল্পীদের এসরাজ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে সুরের ধারা শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে ‘প্রভাত বীণা তব বাজে’ গানটি গেয়ে শোনান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংকে সম্মান জানিয়ে ভুটানের ভাষায় ‘পেলডেন ড্রুকপা’ ও বাংলা ভাষার ‘রাঙামাটির রঙে চোখ জুড়াল’ গান গেয়ে শোনান এ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী কোনাল।
অষ্টমবারের মতো চ্যানেল আই ও সুরের ধারার আয়োজনে হাজারো শিল্পীর অংশগ্রহণে পয়লা বৈশাখে সূর্যোদয় থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের প্রাঙ্গণ মেতে ওঠে ‘লিভার আয়ুশ চ্যানেল আই হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ ১৪২৬’ অনুষ্ঠান। সব বয়সী মানুষ এখানে আসেন নববর্ষের প্রথম সকাল উদ্যাপন করতে।
শিল্পীদের কণ্ঠে বর্ষবরণের পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী মেলার। মেলায় আছে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের উপাদান দিয়ে সাজানো স্টল। স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে পিঠাপুলি, মাটির তৈরি তৈজস, বেত, কাঁথা, পিতল, পাট ও পাটজাত দ্রব্যের নানা জিনিসপত্রসহ রকমারি পণ্যের স্টল।
বাংলা৭১নিউজ/এস.এম