বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কারাবন্দিদের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করার জন্য আধুনিক কারা আইন ও পরিবর্ধিত কারাবিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এ সব কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান প্রকল্পের পরিচালক মো. জাফরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
আনিসুল হক বলেন, সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করছে জনসচেতনতার ওপর। কারণ এখনো এ দেশের জনগণের একটি অংশ দরিদ্র ও নিরক্ষর। এই দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগণ তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়। তাই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া দেশের সব বিচারক, আইনজীবী, এনজিওকর্মী ও সুশীল সমাজকে সরকারের আইনগত সেবা প্রদান কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এসিডদগ্ধ নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা, বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, পাচারকৃত নারী বা শিশুসহ নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অক্ষম যেকোনো নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থ ব্যয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করে সেখানে একজন করে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা আইনগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ প্রদান এবং পক্ষগণের মধ্যেকার বিরোধ বা মামলা বিকল্প বিরোধ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে এখন বিশ্বের উন্নত দেশের মতই অফিস চলাকালীন আইনি পরামর্শের জন্য দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় স্থাপিত টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টারে ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে আইনি সেবা নিতে পারছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস