নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (দামের সর্বনিম্ন সীমা) বেঁধে দেয়ার পর শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের টানা উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ আগস্ট) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে গেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে দেড়শ কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক।
এর আগে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিলে গত বৃহস্পতিবার প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (দামের সর্বনিম্ন সীমা) বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেষ পাঁচ কার্যদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দাম করা হয় প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস।
রোববার থেকে কার্যকর হয় এই ফ্লোর প্রাইস। এতে দাম সমন্বয় করায় রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। আর লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এতে টানা পতন থেকে বেরিয়ে একদিনেই ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১৫৩ পয়েন্ট।
সোমবারও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতির দেখা মিলে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে ৯১২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৪ মিনিটে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২০৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ