বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খুলনার জিরো পয়েন্টে রূপালী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস গরমে অসুস্থ হয়ে ঢামেক কর্মচারীর মৃত্যু দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার এলপি গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা-যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা তীব্র গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে চলছে শ্রমিক সমাবেশ দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! নাটোরে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার রেস্তোরাঁয় মডেলকে গুলি করে হত্যা ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী গাম্বিয়ায় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ চীনে গভীর রাতে মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯ গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট, আমেরিকায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা ধর্ষণের সময় চিৎকার, গলা চেপে ধরায় মারা যায় শিশু ঝুমুর

আদা পাইকারিতে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৭০ টাকা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৯
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রাজধানীর বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজার। এখানে পাইকারি ও খুচরা – দুভাবে শাক-সবজি বিক্রি হয়। শুক্রবার (৭ জুন) কারওয়ান বাজার ঘুরে পেঁয়াজ, হল্যান্ড আলু, আদা, রসুন, মরিচ, করলা, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স ও শসার পাইকারি দরদামের খোঁজ নেয়া হয়।

তাতে দেখা গেছে, চীনা ও ভারতীয় আদার দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। রোজার সময়ের তুলনায় এখন চীনা আদা প্রতি কেজিতে পাইকারি দামই বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ভারতীয় আদার দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে দেশি আদার দাম একই আছে।

এ ছাড়াও পাইকারি দাম বেড়েছে হল্যান্ড আলু, শুকনা মরিচের। স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজ ও শুকনো হলুদের দাম। শবজির মধ্যে হাইব্রিড করলা ও ঢ্যাঁড়সের দাম বেড়েছে, স্থিতিশীল আছে চিচিঙ্গার দাম এবং অর্ধেকে নেমে এসেছে শসার দাম।

আড়তদাররা বলছেন, ঈদের কারণে স্থানীয় বাজার থেকে মালামাল আসছে না। অন্যদিকে ক্রেতাও কম। তাই তারা মালামালের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে বিক্রি করছেন।

আদার আড়তদার মো. জসিম উদ্দিন জানান, প্রতি কেজি চীনা আদা ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন তিনি। রমজানে চীনা আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ভারতীয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং দেশি আদা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন।

অর্থাৎ পাইকারিভাবেই চীনা আদা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে, ভারতীয় আদা ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে এবং দেশি আদার দাম প্রায় একই আছে।

আদার বাড়তি দামের বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে এখান চীনা ও ভারতীয় আদা নতুন করে আসছে না। ঈদের ছুটির পর ব্যাংক চালু হলে তখন ভারত ও চীন থেকে আদা আমদানি শুরু হলে দাম স্বাভাবিক হতে পারে। আর আমদানি কম হলে এই দামই থাকতে পারে। আমদানি বেশি হলে দাম কমে যাবে।’ বিক্রি কম হচ্ছে। তবে একটু বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মো. সাগর নামে আড়তের এক কর্মচারী জানান, বাজারে আগে যেগুলো মালামাল ছিল সেগুলোই এখন বেশি দামে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। নতুন কোনো মালামাল বাজারে আসেনি। চীনা আদার দাম একটু বেশি বেড়েছে।

রসুনও বিক্রি করেন জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, রসুনের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। চীনা রসুন এখন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং দেশি রসুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রমজানেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

পেঁয়াজের আড়তদার মো. আনোয়ার বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ তিনি পাইকারি বিক্রি করছেন ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি। রমজানেও প্রায় একই দামে বিক্রি করেছেন।’

হল্যান্ড আলুর আড়তদার নাসির শেখ জানান, এক পাল্লা (৫ কেজি) আলু ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। রোজায় দাম আরও কম ছিল। তখন ৭০ টাকা প্রতি পাল্লা বিক্রি করেছেন।

ada

তিনি জানান, রোজার সময় হল্যান্ড আলুর আমদানি একটু বেশি ছিল। তাই দামও একটু কম ছিল। এখন আমদানি কম, তাই দাম বাড়ছে। ঈদের জন্য আলু ঢাকায় আসছে না। আবার আমদানি শুরু হলে দাম কমে যাবে বলে জানালেন এই বিক্রেতা।

বাজারে শুকনো মরিচ ভালোটা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, একটু নিম্নমানেরটা ১৮০ টাকা কেজি। রোজার সময় ভালোটা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। শুকনো হলুদ ভালোটা ২০০ টাকা এবং একটু নিম্নমানেরটা ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ‘বাজারে ক্রেতা কম। তাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করে পুষিয়ে নেয়া হচ্ছে’-বললেন আড়তের এক কর্মচারী।

হাইব্রিড করলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, যা রমজানে ছিল ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি। এর দাম কিছুটা বেড়েছে। চিচিঙ্গা ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, রমজানেও তাই ছিল। রমজানে ঢ্যাঁড়স ছিল ১৫ টাকা, এখন ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শসার আড়তদার মো. হারুন জানান, এখন ১০ টাকা কেজি শসা বিক্রি করছেন। রমজানে ছিল ২০ টাকা কেজি। অর্থাৎ শসার দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এসব আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে নিয়ে, তারা এগুলো আরও বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com