বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবরে শনিবার আওয়ামী লীগের এক পক্ষের ওপর অন্য পক্ষের হামলায় অন্তত দেড়শজন আহত হয়েছেন। এসময় পিকআপের ধাক্কায় আরিফ নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরিফের ভাই আলাউদ্দিন বলেন, যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল আমার ভাই। তাদের গাড়িতে হামলা হলে সে নেমে পালানোর সময় ওই গাড়িতেই পিষ্ট হয়।ঢাকা উদ্যানের বাসিন্দা আরিফ রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসাবে কাজ করতেন বলে তার ভাই জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঢাকা হাউজিং, মেহেদিবাগ, গোল্ডেন স্টেট, মুনসুরাবাদ-১০, আদাবর-১৬, আদাবর-১০, শনিরবিল, শম্পা মার্কেট ও লোহার গেট এলাকায় সকালের এ সংঘর্ষে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সুনিবিড় হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মোহাম্মদিয়া হোমসের দারোয়ান আব্দুল জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, একটি পিকআপে করে আসা বেশ কিছু তরুণ লোহার গেটের কাছে এলে বিপরীত দিক থেকে সেই পিকআপ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর পর সবাই ছোটাছুটি করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদেক খানের মনোনয়ন কিনতে তার সমর্থকদের ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে জড়ো হতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে তাদের মনোনয়ন কিনতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
আহত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসু কমিশনারের ভাগনে আলী, ইদ্রিস, জাহাঙ্গীর ও জলিলের অবস্থা গুরুতর।এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানেও হামলা চালানো হয়েছে। শাহচন্দ্রপুরি দোকান থেকে সাতটি এলইডি টিভি ও টাকা-পয়সা লুট করে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নানক এবারও এই আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও মনোনয়ন চাইছেন এবার।
আদাবর থানার ওসি কাওসার আহমেদ বেলা সোয়া ১১টায় বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটেছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা সতর্কভাবে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাচ্ছি।
সংঘর্ষের বিষয়ে সাদেক খান সাংবাদিকদের বলেন, যুবলীগের তুহিনের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা হয়।
আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তুহিন সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপির লোকজন আওয়ামী লীগের লেবাস নিয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ