বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘিতে সজনে ডাটার বম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবার গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশী উৎপাদন হয়েছে। উপজেলার শহর বন্দর, গ্রামে গ্রঞ্জে সবখানে গাছে গাছে প্রচুর পরিমানে সজনে ডাটা ধরেছে। বাজারে আমদানীও বেরেছে দিগুন।
স্থানীয় হাট বাজারে সজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখোরচক ও পুষ্টিগুনে ভরপুর সজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে রাত দিন শত শত মন সজনে ডাটা আমদানী হচ্ছে। বাজারে মৌসুমি সজনে ডাটার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম গত বারের চেয়ে এবার একটু বেশী। বর্তমান হটি বাজারে প্রতিমন সজনে প্রাইকারী বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা থেকে এক হাজার ৮শো টাকা এবং খুচড়া প্রতিকেজি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার কায়েত পাড়া গ্রামের শফির আলী চারটি গাছ থেকে ২০ মন সজনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভমান হয়েছে। উপর পোওতা গ্রামের শাহাজহান, সেকেন্দও আলী, ও আব্দুল করিম ২০ হাজার করে সজনে বিক্রি করেছ।
এছাড়াও সান্তাহার শহর এবং আশপাশ এলাকার অনেকে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা ও আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীতে দিয়ে ও অতিরিক্ত সজনে বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভমান হয়েছেন। অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে বেশী হওয়ায় যে কোন বয়সের মানুষ সজনে খেতে ভালবাসেন। চিকিৎসকদের মতে সজনে সবজিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্র্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসুতি মাযেদেও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে সজনে ডাটা ঔষধী ৃৃসবজি হিসাবেও ব্যাপক সমৃদ্ধ। এছাড়া গাছের ছাল এবং পাতা রক্তামাশায় পেটের পিরা ওউর্চ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ কার্য়কর ভুমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রজাতির। এর মধ্যে এক প্রজাতির বছরে তিন থেকে চার বার পাওয়া যায়।
স্থানীয়ভাবে এর নাম রাইখজ্ঞন। সজনে গাছ যে কোন পতিত জমি,পুকুরপাড় রাস্তার বা বাধের ধারে আঙ্গিনা এমনকি শহর বন্দরের যে কোন ফাকা জায়গায় লাগানো যায। এর কোন বীজ বা চারার প্রয়োজন হয় না। গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুতে রাখলেই সজনে গাছ জম্মায়। সজনে গাছের কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। অযন্তে অবহেলায় প্রকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে গাছ। বড় ও মাঝারি ধরনে একটি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া য়্য়। বিনা খরছে অধিক আয় পাওয়ায় অনিকেই ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিষেশ করে আদমদীঘি উপজেলার মাটি, পিিন ও আবহাওয়া সজনে চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায এই উপজেলায় ও এর আশে পাশের সর্বত্রই প্রচুর পরিমানে সজনে উৎপাদন হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌরএলাকায় সজনে চাষে উপযোগী এখানকার মাটি ও আবহাওয়া দুটই ভালো রয়েছে। এখানে ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করে আর্থকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকে আম, জাম,কাঠার লিচু বাগানের মত এখন সজনে গাছের বাগান করতে শুরু করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস