বাংলা৭১নিউজ, মো: মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বগুড়ার আদমদীঘিতে এবার আলু ও সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এবার এ উপজেলায় রোপা আমনের ফসল বন্যায় ঢুবে নষ্ট হওয়া জমিতে কৃষকরা আলু সরিষা চাষে ব্যাপক সারা ফেলেছে। চারেদিকে শুধু আলু ও সরিষা গাছের সবুজের সমাহরোহ।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ৬টি ইউনিয়নে অন্যন্যে বছরের চেয়ে এবার কৃষকরা ব্যাপক আলু ওসরিষা চাষ করেছে। সময় মত সেচ সার ঔষধ প্রয়োগ করাসহ আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলু ও সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেছে এলাকার কৃষকরা।
ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম রোপন করা আলু তুলে ব্যাপক ফলন পেতে শুরু করেছে। ৩০ শতক জমিতে ৬০থেকে ৮০মন উচ্চ ফলনশীল আলু উৎপাদন হচ্ছে। এবার এই উপজেলায় দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে ।
স্বল্প সময়ে লাভজনক ফসল সরিষা চাষ করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে।
বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৮ মণ হারে সরিষা উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে সান্তাহার পৌসভায় ৬০ হেক্টর জমিতে আলু ১শ হেক্টরে সরিষা, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নে ৫৫০ হেক্টরে আলু, ১শ হেক্টরে সরিষা, নশরৎপুর ইউনিয়নে ৩শো হেক্টরে , ৩শ ৫৫০ হেক্টরে সরিষা, সান্তাহার ইউনিয়নে ১শ হেক্টরে আল,ু তিনশো ৫০হেক্টরে সরিষা, কুন্দুগ্রাম ইউনিয়নে ৩শো হেক্টরে আলু,৫৫০ হেক্টর সরিষা, চাপাপুর ইউনিয়নে তিনশো ৫০হেক্টরে আলু, ৪শো ৪৫০ হেক্টরে সরিষা, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে ৮শো ৫০ হেক্টরে আলু, ৭৫০শো হেক্টরে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এদিকে বর্তমানে বাজারে নতুন আলুর কম হওয়ার কারনে চাষীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে ।
অন্যন্যে বছর এ সময় নতুন আলুর কেজি ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা । বর্তমানে নতুন আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা থেকে ১০টাকা গত বছরও আলু চাষিরা ভালদাম পায়নি। ফলে গত বছরও চলতি বছরের আলুর দাম নিয়ে স্থাণীয় কৃষকরা হতাশায় ভুগছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস