বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বগুড়ার আদমদীঘিতে এবার আলু ও সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে ব্যাপক সারা ফেলেছে আলু ও সরিষা চাষে। চারেদিকে শুধু আলু ও সরিষা গাছের সবুজের সমাহরো । এবার চলতি রোপা আমন মৌসুমে বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়া জমিতে আগাম রবিশস্য ফসলের দিকে ঝুকে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। উপজেলার ১টি পৌরসভা ৬টি ইউনিয়নে অন্যন্যে বছরের চেয়ে এবার কৃষকরা ব্যাপক আলু ও সরিষা চাষ করেছে। সময় মত সেচ সার ওষধ প্রয়োগ করাসহ আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলু ও সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেছে এলাকার কৃষকরা। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম রোপন করা আলু তুলে ভালো ফলন পেেেলও বাজারে অন্যান্য সবজির চেয়ে নতুন আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা নায্যমূল্যে না পাওয়ায় তাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে। এবার উচ্চ ফলনশীল আলু উৎপাদন করার পরও ভালো দাম পাচ্ছেনা কৃষকরা। এবার এই উপজেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে । আর স্বল্প সময়ে লাভজনক ফসল সরিষা চাষ করা হচ্ছে ৩৫ শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সান্তাহার পৌসভায় ৫০ হেক্টর জমিতে আলু ১শ হেক্টরে জমিতে সরিষা, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নে ৫৫০ হেক্টরে আলু ৭৫০ হেক্টরে সরিষা, নশরৎ পুর ইউনিয়নে ৩শ হেক্টরে আলু ৫৫০হেক্টরে সরিষা, সান্তাহার ইউনিয়নে ১শ ৫০হেক্টরে আলু ৩শ৫০ হেক্টরে সরিষা, কুন্দু গ্রাম ইউনিয়নে ৩শ ৫০হেক্টরে আলু ৫৫০হেক্টরে সরিষা, চাপা পুর ইউনিয়নে ৩৫০ হেক্টরে আলু ৪শ হেক্টরে সরিষা, ছাতিয়ান গ্রাম ইউনিয়নে ৮৫০ হেক্টরে আলু ৭৫০ হেক্টরে সরিষা। গতবার এ উপজেলায় আলু চাস হয়েিেছল মাত্র ৫শ হেক্টরে, আর সরিষা চাষ হয়েিেছল ১৮শ হেক্টরে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আলু চাষে বিপ্লব ঘটটেছে। বর্তমানে বাজার নতুন আলুর দাম কমদেখে কৃষক ও বর্গা চাষীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অন্যন্যে বছর এ সময় নতুন আলুর কেজি ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা । বর্তমানে নতুন আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা । ফলে আলু চাষ করে এবার লোকশান হতে পারে বলে স্থানীয় কৃষকরা মনে করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস