বাংলা৭১নিউজ, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: দেশের মৎস্য ভান্ডার বলে খ্যাত বগুড়ার আদমীঘিতে একদিকে মাছের বাজার মন্দা ও অন্যদিকে শৈত্য প্রবাহে প্রচন্ড শীতে শীত জনিত ভাইরাস রোগে রেনু পোনা এবং ছোট বড় পাঙ্গাস কৈই মাগুর তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছ মরে যাচ্ছে । ফলে এই দুয়েমিলে এলাকার মৎস্য ব্যাসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা লোকশানের মুখে পরেছে বলে জানাগেছে। জানা যায় এবার উপজেলা সদর,ও সান্তাহর পৌর এলাকা এবং আশেপাশেসহ দেশের প্রায় সবস্থানে চাষ উপযুগী ছোট পোনা ও বাজারজাত উপযুগী সাইজের মাছের বাজারে দাম কম। এছারাও গত কয়েক দিনের একটানা শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশা ও প্রচুন্ড ঠান্ডায় উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর এলাকা এবং এর আশপাশের পুকুর ও জ্বলাশয়গুলোতে হাজার হাজার টাকার পাঙ্গাস কৈই মাগুর তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পুকুরে চাষের উপযুগী পোনাও বিভিন্ন সাইজের মাছ মরে যাচ্ছে। কোন পদ্ধতিতেই এই মাছের মড়ক ঠেকানো যাচ্ছে না এবং মাছের রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, গত কয়েকদিন শৈত্য প্রবাহ প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ার কারণে এসব মাছের মড়ক দেখা দেয়। এতে এলাকার হ্যাচারী ও মৎস ব্যবসায়ী এবং মৎস্য চাষীদের হাজার হাজার টাকা মূল্যের মাছ মরে বিনষ্ট হয়েছে। ফলে মৎস্যচাষী ও ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সান্তাহার পৌর এলাকার মঃস্য ব্যাবসায়ী ওলি আমমেদ এবার ৫ টি পুকুর লিজ নিয়ে মাচ চাস করেন। বাজারে মাছের দাম কমে যাওয়া এং প্রচুন্ড শীতে মাছ মরে যাওয়ায় এবার পুকুরের জমার টাকা উঠবেনা বলে তিনি জানান।
এছারও উপর পোঁওতা গ্রামের মিঠু, শাহাজান, ছোট আখিড়া গ্রামের সোলাইনমান ও একই কথা বলেন তারা বরেন এবার পুকুরের জমার টাকা উঠবেনা।এই উপজেলার উৎপাদিত মাছ দিয়ে এই এলাকাসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার অর্ধেক চাহিদা মিটে। এবার ঠান্ডায় লক্ষ লক্ষ পাঙ্গাসসহ এসব মাছ মরে যাওয়ায় আগামীতে মাছ সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেক মৎস্য ব্যাবসায়ী।
আদমদীঘি উপজেলা মৎস্য অফিস জানান শীতে ভাইরাসে মাছ মরে যাচ্ছে এমন বিষয় কেউ বলেনি বা জানা নেই তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কোল্ড ইনজুরিতে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এ সমস্য কেটে যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস