বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়) প্রতিনিধি: কথায় বলে মাঘের শীতে বাঘ কাঁধে। বাঘের সাথে কাপছে মানুষ। বগুড়ার আদমদীঘি-সান্তাহারসহ এর আশপাশ এলাকায় জেকেঁ বসেছে শীত।গত শনিবার ছিল মাঘ মাসের প্রথম দিন। মাঘের প্রথম দিনই ছিল বাঘ কাধানো শীত। সেই সাথে এই এলাকার মানুষ কাপছে। শনিবার সারাদিন সৃর্যের দেখা মিলেনি।
সকাল থেকে ঘনকুয়াশা আর হীমেল বাতাসে হারকাপানো তীব্রশীতে দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। শীতজনিত রোগে গত এক সপ্তাহে এসব এলাকায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে সান্তাহার শহরের মালশন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আলতাফ (৭০) একই গ্রামের জিন্নÍ স্ত্রী মনোয়ারা (৫৫) মঙ্গলবার রাতে শহরের ছাতিয়ানগ্রম রোডের হটাৎপাড়া গ্রমের মোস্তফার স্ত্রী রেজিনা (৪০) পাশ্ববর্তী বড়গাছা গ্রামের বাবলু (৬৮) শুক্রবার সান্দিড়া গ্রামের মুক্তা (৪৬) উপর পোঁওতা গ্রামের মৃত আফসারের স্ত্রী ছামেনা (৫৫) এছারাও শনিবার রাতে সান্তাহার শহরের হরজিন পল্লিতে একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গাছে।
শিশু ,নারী,পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের শত শত ব্যাক্তি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে এসব আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা সদর হাসপাতালেও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানাগাছে। শৈত্যপ্রবাহ ঘন কুয়াশা এসব এলাকায় জেকে বসেছে শীত। গত একসপ্তাহ যাবৎ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব এলাকায় সূর্য়ের দেখা না গেলেও দুপুরে পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা কুমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বরছে।
ফলে দিনদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও বাড়ছে। শ্রমজীবি ও চাকুরীজীবি এবং প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাসাবাড়ী থেকে বাহিরে বের হচ্ছেনা কেউ। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শহরের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরগুলো হয়ে পরছে জনজীবন শ্বন্য।
শীত মোকাবেলা করতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে উপচেপরা ভির লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার শীতের কাপড়ের দামও লাগালের বাহিরে। উচ্চও মধ্যেবিত্ত পরিবারের লোকজন শীতের কাপড় কিনলেও অল্প আয়ের মানুষেরা চেয়ে আছে সরকারী বেসরকারী ও বিভিন্ন এনঞ্জীয় প্রতিষ্টানের দিকে এপর্যন্ত এই এলাকার শীতার্থ মানুষের কাছে কেউ এগিয়ে আসেনি। শীত বস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পরেছে এসব এলাকার হতদরিদ্র পরিবার ও রেল ষ্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষরা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস