বাংলা৭১নিউজ, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘিতে মরিয়ম (৬০) নামের এক নারী চাতাল শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে। নিহত মরিয়ম লালমনিরহাট জেলার কাউনিয়া উপজেলার মিনাজবাজার ফরিয়াটারী গ্রামের মৃত মিনছের আলীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের তালাকপ্রপ্ত স্বামী চাতাল শ্রমিক শফিকুল ইসলামকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটক শফিকুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পুরান অনন্তপুর গ্রামের নুরুলের ছেলে ও নিহত মরিয়মের মেয়ের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী । এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্ততুিিত চলছে বলে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কিরন চন্দ্র রায় জানান।
জানা যায়, নিহত মরিয়ম ও তার মেয়ে মনোয়ারা বেগম (২৫) প্রায় ১২ বছর আগে আদমদীঘি উপজেলায় আসেন। তারা বিভিন্ন চাতালে ধান সিদ্ধ শুকানো শ্রমিকের কাজ করতো। নিহত মরিয়ম জনৈক আনন্দ কুন্ডুর চাতালে ও তার মেয়ে মনোয়ারা বেগম সম্প্রতি শফিকুল ইসলামকে ২য় বিয়ে করে পাশের একটি চাতালে বসবাস করতো। মনোয়ারা বেগম ৩সপ্তাহ আগে তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে তালাক দেয়। এরপর তালাক দেয়া স্বামী শফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ও তার মা মরিয়মকে মোবাইল ফোনে ও সম্মূখে নানা হুমকি দিয়ে আসছিল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর আনন্দ কুন্ডুর চাতালের ম্যানেজার মেহেদী হাসান ও তার ভাই সুমন নারী শ্রমিক মরিয়মকে চাতালে রেখে ডহরপুর গ্রামে বাড়ীতে খাবার জন্য যায়। ম্যানেজার মেহেদী জানায়, রাত ৯টায় চাতালে ফিরে দেখেন মাথা ও মুখে আঘাতসহ রক্তাক্ত অবস্থায় মরিয়ম ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপর স্থানীয় জনগনের সহযোগীতায় মূমূর্ষ অবস্থায় মরিয়মকে প্রথমে আদমদীঘি ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাতে মারা যায়। পুলিশ রাতেই মনোয়ারার তালাক দেয়া স্বামী শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস