বাংলা৭১নিউজ,(নাটোর)প্রতিনিধিঃ আত্রাই নদীর পানির তোড়ে সিংড়া-তেমুক সড়ক ভেঙে সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এছাড়াও সড়কে পানি উঠে আরও অন্তত ৬টি জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এদিকে বাড়িঘর রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী।
রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রবল বন্যা ও ভারী বর্ষণে গত এক সপ্তাহ সড়কটির কয়েকটি পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে এলজিইডিকে সড়কটি রক্ষার জন্য বারবার বলার পরও তারা কোন কর্ণপাত করেনি।
বুধবার সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে রাতে হঠাৎ পানির তোড়ে তেমুক বাজার সংলগ্ন দুইটি পয়েন্টে পাকা সড়ক ভেঙে বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
এছাড়াও ভাগনাগরকান্দি এলাকায় আরো অন্তত ৬টি পয়েন্টে পাকা সড়ক তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী তাদের স্বপ্নের পাকা সড়ক ও বাড়িঘর রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করছে।
বাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত সেলিম হোসেন ও সুলতান আহমেদ জানান, সম্প্রতি সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের এই সড়কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু রাতে হঠাৎ বন্যার তোড়ে দুটি স্থানে অন্তত ১০ মিটার করে ভেঙ্গে গেছে এবং ক্রমেই ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে সড়কটি নির্মাণ করে এলাকাবাসী স্বপ্ন পুরণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এই সড়ক ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় তাজপুর, চৌগ্রাম, ইটালী ও ডাহিয়া ইউনিয়নের নাগরনদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
তার ইউনিয়নের চরতাজপুর, তাজপুর, ভাদুরীপাড়া, চকনওগা, কমরপুর, বজরাহার, রাখালগাছা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার লোক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন বলে জানান তিনি।
সিংড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাসান আলী এই প্রতিবেদকের কাছে সড়ক ভেঙে যাওয়ার কথা শুনে অবাক হন। দ্রুত লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও শোনান।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার খবর শুনে আগেই এলজিইডিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। যদি তারা দায়িত্ব পালন না করে থাকে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই